Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

কলেজ কর্মচারীকে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন এ এস আই

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারী ২০১৯, ০১:২৪ PM
আপডেট: ৩০ জানুয়ারী ২০১৯, ০১:২৪ PM

bdmorning Image Preview


ঝিনাইদহে নারীসহ কলেজের কর্মচারীর আপত্তিকর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদেরকে জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।

ক্লোজড দুই পুলিশ সদস্য হলেন- সদর থানার এএসআই মো. রাজু আহম্মেদ ও কনস্টেবল মুসা তারেক।

শনিবার (২৬ জানুয়ারি) পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান তাদের বিরুদ্ধে এ আদেশ জারি করলেও মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাস।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে ঝিনাইদহ সরকারি নুরুন্নাহার মহিলা কলেজের মাস্টার রোলের কর্মচারী (এমএলএসএস) মো. আলমগীর হোসেনকে ব্ল্যাকমেইল করতে দু'জন অপরিচিত নারী পাঠানো হয়। তারা প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেয়ার কথা বলে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে।

ওয়াশরুমের দিকে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক সেখানে এসে হাজির হন সদর থানার এএসআই মো. রাজু আহম্মেদ, কনস্টেবল মুসা তারেক ও তাদের সহযোগী সদর থানার সিভিল টিমের মাইক্রোবাস চালক তুষার আহম্মেদ।

তারা গিয়েই কলেজের নিচতলার ১০৫ নম্বর রুমের পাশে এমএলএসএস মো. আলমগীর হোসেনকে মারপিট করতে থাকেন। জোর করে পরনের কাপড় খুলে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে আসা ওই দুই নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ছবি ধারণ করেন তারা।

অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, এরপর হাতকড়া পরিয়ে একটি ইজিবাইকে করে থানায় নেয়ার জন্য পিড়াপিড়ি করতে থাকেন। এসময় তার ডাকচিৎকারে সেখাসে (ক্যাম্পাসে) ছুটে আসেন কলেজ হোস্টেলের এক নারী কর্মচারীসহ এলাকাবাসী। 

সবার সামনে আলমগীরকে কান ধরে ওঠবস করানো হয়। এ ঘটনায় উপস্থিত লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়েন। বিপদ টের পেয়ে এএসআই মো. রাজু আহম্মেদ ও কনস্টেবল মুসা তারেক মোটরসাইকেলে চড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। অপর দুই নারীও সটকে পড়েন। তার আগে আলমগীরের পকেটে থাকা ৩০০ টাকা কেড়ে নেন তারা।

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাস জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান ওই দিনই তাকে ঘটনা তদন্ত করার নির্দেশ দেন। তদন্তে ঘটনার সত্যতা বেরিয়ে আসে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, ২৬ জানুয়ারি শৃঙ্খলা বহির্ভূত এবং পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সদর থানার এএসআই মো. রাজু আহম্মেদ ও কনস্টেবল মুসা তারেককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার আদেশ দেন পুলিশ সুপার। তাদেরকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়। তদন্ত শেষ হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মনিরুল আলম বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। এছাড়া বেশি কিছু বলা আমার পক্ষে সম্ভব না।
 

Bootstrap Image Preview