Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

হঠাৎ হাসপাতালে গিয়ে হতবাক এমপি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারী ২০১৯, ০৫:৩৭ PM
আপডেট: ২৯ জানুয়ারী ২০১৯, ০৫:৩৭ PM

bdmorning Image Preview


হঠাৎ করেই হাসপাতালে উপস্থিত হন সংসদ সদস্য। কিন্তু কোনো ডাক্তারকেই হাসপাতালে খুঁজে না পেয়ে অসন্তোষ হয়ে চলে আসেন তিনি। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘটে এমন ঘটনা।

জানা যায়, স্থানীয় স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. একাব্বর হোসেন মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে যান। সকাল সোয়া ১০টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে এমপি দেখেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ (টিএইচও) ১৯ জন ডাক্তারের মধ্যে টিএইচওসহ ১৪ জন অনুপস্থিত।

সোমবার (29 januyari) সকালে হঠাৎ হাসপাতাল পরিদর্শনে যান এমপি। অনুপস্থিত ডাক্তারের মধ্যে মধ্যে একজন ডাক্তার ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে অনুপস্থিত রয়েছেন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাসপাতালে গিয়ে এমপি দেখেন- জরুরি বিভাগে কোনো ডাক্তার নেই। স্যানিটারি পরিদর্শকের কক্ষ ছিল তালাবদ্ধ। আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা নেই দুই বছর ধরে। ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক ভবনে থাকেন না কোনো ডাক্তার। টয়লেট ও হাসপাতাল অপরিষ্কার। এসব দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এমপি।

পরে হাসপাতালের পরিদর্শন বইয়ে অব্যবস্থাপনার চিত্র তুলে ধরে মন্তব্য লিখে চলে আসেন এমপি একাব্বর।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, এমপি হঠাৎ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসায় আমরা খুশি। তবে কয়েকজন ডাক্তার ওই সময় হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন।

ডাক্তারদের অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাসপাতালের ছয়জন ডাক্তার প্রেষণে ও পাঁচজন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত আছেন। দুইজন ছুটিতে রয়েছেন। এদের মধ্যে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে প্রেষণে থাকা এক ডাক্তারের খোঁজ নেই। তবে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এমপি হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় আপনি কেন ছিলেন না এমন প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতার বিষয়ে টাঙ্গাইল সিভিল সার্জন কার্যালয়ে একটি সভায় উপস্থিত ছিলাম আমি।

তবে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন শরিফ হোসেন বলেন, আমার কার্যালয়ে আজ কোনো সভা ছিল না। তবে টিএইচও আমার কার্যালয়ে এক ফাঁকে এসেছিলেন। কিন্তু কোনো সভা বা আলোচনা হয়নি।

হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে এমপি একাব্বর হোসেন বলেন, হাসপাতালের নানা বিষয়ে আমি অসন্তোষ প্রকাশ করেছি। যা পরিদর্শন বইয়ে উল্লেখ করে এসেছি। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে কথা বলব আমি।

Bootstrap Image Preview