শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় টয়লেটের ট্যাংক থেকে আল-আমিন মাঝি নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার সখিপুর থানার চরকুমারিয়া ইউনিয়নের বাহেরচর নাজিমউদ্দিন মোল্লা কান্দি গ্রামের হাফেজ শরীফ মোল্লার বাড়ির টয়লেটের ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
আল-আমিন মাঝি (১১) ওই গ্রামের স্বপন মাঝির ছেলে। সে ৭৬নং বাহেরচর কদমতলী মোল্লা বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত ১৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মসজিদে ওয়াজ শোনার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় আল-আমিন। পরে আর বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও না পেয়ে আল-আমিনের বাবা সখিপুর থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন।
নিখোঁজের ১০ দিন পর শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়ির ১৫০ ফুট দূরে হাফেজ শরীফ মোল্লার বাড়ির টয়লেটের ট্যাংকে আল-আমিনের বাবা স্বপন মাঝি ও ফুফা ছালাম মাঝি মরদেহটি খুঁজে পায়। পরে সখিপুর থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
সখিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক এনাম বলেন, ১০ দিনে মরদেহটি গলে গেছে। সেটি মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনও কোনো মামলা হয়নি। তবে আল-আমিন নিখোঁজ হওয়ার পর তার বাবা সাধারণ ডায়রি করেছিল।