লক্ষ্মীপুরে সুবিধাবঞ্চিত ২ শতাধিক শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

জাতীয় পাঠাগার আন্দোলন (জাপাআ) ও আলোকিত পাঠাগারের উদ্যোগে লক্ষ্মীপুরে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

আজ শনিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের ফরাশগঞ্জ গ্রামের আলোকিত পাঠাগার আঙ্গিনায় এ আয়োজন করা হয়। এতে সহযোগিতা করে নারীদের সংগঠন ‘পাওয়ার অব শী’। এসময় স্থানীয় ৭টি স্কুল ও মাদ্রাসার দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেওয়া হয়।

জাতীয় পাঠাগার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আরিফ চৌধুরি শুভ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, লক্ষ্মীপুরের সাবেক সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, লক্ষ্মীপুর ঈদগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রেহানা আক্তার, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি মামুনুর রশিদ, এনজিও কর্মী নুর মোহাম্মদ, শিক্ষক আবু তাহের, আবুল খায়ের ফারুক।

এছাড়াও জাতীয় পাঠাগার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ এবিএম নোমান উদ্দিন, ক্রীড়া সম্পাদক রাকিব হোসেন আপ্র, নির্বাহী সদস্য ফাহমিদা আক্তার প্রমিসহ স্থানীয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় কুশাখালী ইউনিয়নের ডা. মোমতাজ উদ্দিন আলোকিত স্কুল এন্ড কলেজ, ফরাশগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালিবৃত্তি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝাউডগী দাখিল মাদ্রাসা, নলডগী ইবতেদায়ী মাদ্রাসা, ঝাউডগী আলোকিত স্কুল এন্ড কলেজ এবং মুনছুর আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় দুই শতাধিক ছাত্রছাত্রীর মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

জাতীয় পাঠাগার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জি: আরিফ চৌধুরী বলেন, এই প্রথমবারের মতো ফরাশগঞ্জসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের শিক্ষার্থীরা শীতবস্ত্র পেল। এবারের পিইসিতে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিদ্যালয় আলোকিত স্কুলের সাফল্য দেখে তাদের জন্যে ২ শতাধিক শীতবস্ত্র পাঠান নারীদের সংগঠন পাওয়ার অব শী।

তিনি আরো বলেন, শুধু আলোকিত স্কুলের শিক্ষার্থীরাই নয়, অন্যান্য বিদ্যালয়ের সুবিধাবাঞ্চিত শিক্ষার্থীরাও আলোকিত স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে এই শীত পোশাক গ্রহণ করেছে। আমি মনে করি সমাজের প্রতিটি স্তরে সমবন্টন নীতি বজায় থাকুক।

বক্তারা বলেন, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত ছেলে-মেয়েদের খোঁজখবর নিয়ে তাদেরকে শীতবস্ত্র দেওয়া একটি মহৎ উদ্যোগ। দেশের প্রতিটি গ্রামের সুবিধাবঞ্চিতদের খোঁজখবর নেওয়া ও তাদের অধিকার রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব। এ বিষয়ে সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা