Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শিক্ষিকা সাজিয়াকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছিলেন পরকীয়া প্রেমিক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারী ২০১৯, ০৯:০৯ PM
আপডেট: ২৫ জানুয়ারী ২০১৯, ০৯:০৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ফরিদপুরের আলোচিত কলেজ শিক্ষিকা সাজিয়া বেগমকে (৩৪)হত্যার পর নিজে ফ্যানের সাথে গলায় রশি ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন তার পরকীয়া প্রেমিক ব্যাংক কর্মকর্তা ফারুক হাসান। তাদের লাশ উদ্ধারের ঘটনার প্রায় ৭ মাস ২০ দিন পর আজ বুধবার কোতোয়ালি থানার মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বুধবার বিকেলে জেলার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মাসুদ আলীর আদালতে এই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্দকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার ইন্সপক্টের (অপারেশন) বিপুল কুমার দে। তদন্তকারী কর্মকর্তার এ প্রতিবেদনে এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার একমাত্র অভিযুক্ত আসামি সাজিয়ার স্বামী শেখ শহিদুলকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম বলেন, এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বাদী আফসারী আহমেদ, আসামি শেখ শহিদুল ও সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ঘটনার পর ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা প্রতিবদেনে অভিমত দেয়া হয় যে, প্রেমিকা সাজিয়া বেগমকে হত্যার পর ব্যাংক কর্মকর্তা ফারুক হাসান আত্মহত্যা করেন। এরপর আমরা অপেক্ষায় ছিলাম ডিএনএ টেস্ট রিপোর্টের। ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ঘটনার সময় ওই কক্ষে তৃতীয় কোনো ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন কিনা সেটি জানার জন্য ঢাকায় সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে ডিএনএ’র নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছিল। ডিএনএর ওই পরীক্ষাতেও তৃতীয় কোনো ব্যক্তির উপস্থিতির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে ওসি জানান।

গত বছরের ৬ মে রাতে শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলীর বাসিন্দা জনৈক নুরুল ইসলামের দ্বীতল ভবনের নিচতলার একটি কক্ষ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় এই দু’জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে নিহত সাজিয়া বেগম ফরিদপুরের সরকারী সারদা সুন্দরী কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন তিনি ঢাকার সূত্রাপুরের বানিয়ানগর মহল্লার শেখ শাহজাহানের মেয়ে। তার স্বামী মেখ শহিদুল সুত্রাপুরে খুচরা যন্ত্রাংশের ব্যবসা করতেন।

আর ফারুক হাসান সোনালী ব্যাংকের ঢাকাস্থ মতিঝিল শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার ছিলেন। ঢাকার পশ্চিম আগারগাঁও এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তিনি যশোরের শর্শার বুরুশবাগ এলাকার জনৈক মিজানুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় পরের দিন ৭ মে রাতে সাজিয়ার ফুফু আফসারী আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ লাশ উদ্ধারের সময়ই সন্দেহভাজন হিসেবে সাজিয়ার স্বামী শেখ শহিদুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর এই মামলায় শহিদুলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

Bootstrap Image Preview