Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ দেখতে যাবো: তুরস্ক

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারী ২০১৯, ০৭:১৫ PM
আপডেট: ২৫ জানুয়ারী ২০১৯, ০৭:১৫ PM

bdmorning Image Preview
ছবি: আঙ্কারাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস


বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার পরিবেশ দেখতে যাবো বলে জানিয়েছেন তুরস্কের ইকিতিল্লি শিল্পাঞ্চলের সভাপতি হাসান তুনজ।

আঙ্কারাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং তুরস্কের অন্যতম বৃহৎ পরিকল্পিত অর্থনৈতিক এলাকা ইকিতিল্লি শিল্পাঞ্চল কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে গতকাল ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ ইস্তাম্বুলে “বাংলাদেশ-তুরস্ক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা” শীর্ষক একটি সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে তুরস্কের ৫৪টি কোম্পানির প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা অবকাঠামো নির্মাণ, জ্বালানী, তথ্যপ্রযুক্তিখাত হতে শুরু করে আমদানি-রপ্তানির সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যবসায় নিয়োজিত রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ইকিতিল্লি পরিকল্পিত শিল্পাঞ্চল তুরস্ক তথা ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ শিল্পাঞ্চল যেখানে অবস্থিত ছোট বড় ত্রিশ হাজার কোম্পানিতে প্রায় চার লক্ষ কর্মী কাজ করছেন।

তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী তাঁর উপস্থাপনায় স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা এবং তাঁর পিছনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত ভূমিকা সম্পর্কে আলোকপাত করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের ভৌগলিক কৌশলগত গুরুত্ব, সাম্প্রতিক সময়ের আর্থ-সামাজিক অর্জন এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের স্বীকৃতি সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন। তিনি বাংলাদেশ ও তুরস্কের মাঝে বিদ্যমান উষ্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের  জন্য উভয় পক্ষের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হয়ে বিদ্যমান বাণিজ্যবান্ধব পরিবেশের সুযোগ নেবার জন্য তিনি তুর্কি ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান।

এছাড়া, ইস্তাম্বুলে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম তাঁর প্রারম্ভিক বক্তব্যে অন্যান্য উদীয়মান অর্থনীতির সাথে বিনিয়োগ-সুবিধা ও প্রণোদনার আলোকে বাংলাদেশের অগ্রগামিতার কথা তুলে ধরেন। তিনি দু'দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনার খাতগুলো চিহ্নিত করেন।

ইকিতিল্লি পরিকল্পিত শিল্পাঞ্চলের সভাপতি 'হাসান তুনজ শিল্পাঞ্চলের সক্ষমতা ও গুরুত্ব বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। তিনি শীঘ্রই একটি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ দল সাথে নিয়ে বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনা ব্যক্ত করেন। তিনি এ উদ্দেশ্যে সংগঠিত হবার জন্য তাঁর সদস্যেদের প্রতি আহ্বান জানান।

আশা করা যায় এই সেমিনার বাংলাদেশের দ্রুতবর্ধনশীল বাজার ও অর্থনীতির বিষয়ে তুরস্কের বেসরকারি খাতের মনোযোগ আকর্ষণে সহায়ক হবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে প্রত্যক্ষভাবে ব্যবসার সাথে জড়িত দুজন তুর্কী ব্যবসায়ী তাঁদের অর্জিত ইতিবাচক অভিজ্ঞতা সকলের সামনে তুলে ধরেন। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, অর্থনৈতিক অগ্রসরমানতা এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বিষয়ে ৩টি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

উল্লেখ্য, দূতাবাসের উদ্যোগে সামনের দিনগুলোতে তুরস্কের বিভিন্ন শহরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ শীর্ষক আরো সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে যা দু’দেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিকাশে সহায়তা করবে বলে আশা করা যায়।

Bootstrap Image Preview