Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী মুনিম খাঁন

হৃদয় দেবনাথ, মৌলভীবাজার সদর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:৫৫ AM
আপডেট: ২৫ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:৫৭ AM

bdmorning Image Preview


সদ্য সমাপ্ত হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আমেজ কাটতে না কাটতেই চলে এসেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আর মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশায় স্পেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুনিম খাঁন (শাকুর খাঁন)।

জানা যায়, মুনিম খাঁন কমলগঞ্জ উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাঁন পরিবারের সন্তান। দীর্ঘদিন প্রবাসে রাজনীতি করলেও দেশের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন তিনি। পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ের অসহায় হত-দরিদ্র মানুষের বিপদ-আপদে প্রবাসে অবস্থান করেও আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রবাসী এ রাজনৈতিক নেতা। তাই কমলগঞ্জ উপজেলার তৃণমূলের মানুষের কাছে তিনি অত্যন্ত সুপরিচিত ও পছন্দের মানুষ। তিনি ইউরোপের ইউরোসিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং সিত্ত'র দায়িত্বে রয়েছেন।

একান্ত আলাপে মুনিম খান বিডিমর্নিংকে জানান, আল্লাহর মেহেরবানীতে আমার প্রচুর অর্থ-বিত্ত রয়েছে তাই আমি চাই বাকী জীবন এলাকার সাধারণ অসহায় মানুষগুলোর সেবা করে কাটিয়ে দিতে চাই।

শাকুর খাঁন জানান, রাজনীতিতে তার আবির্ভাব কমলগঞ্জ উপজেলার ২ নং পতন ঊষার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার তৌফিক আহমদ বাবুর হাত ধরে। স্কুল জীবন থেকেই ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু। এক পর্যায়ে চলে যান সুদুর ইউরোপে। প্রবাসে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এই নেতা যুক্ত হন সুইডেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে। 

শাকুর খাঁন বলেন, আমাদের দেশে এখন প্রধান সমস্যা মাদক এবং দুর্নীতি আর এ দুটি বিষয় নিয়েই আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। জননেত্রীর এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কমলগঞ্জ উপজেলাকে আমি মাদক আর দুর্নীতি মুক্ত একটি উপজেলা হিসেবে তৈরী করে আমাদের প্রিয় নেত্রীকে উপহার দিতে চাই। মাদক আর দুর্নীতির সাথে যারাই জড়িত থাকবে হোক সে আমার আত্মীয় এ বিষয়ে কাউকে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। 

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগে নেতাকর্মীদের মাঝে বিভেদমান সমস্যা নিরসন করে সকলকে এক ছাদের নিচে নিয়ে আসাই আমার প্রধান লক্ষ্য। কারণ আমরা আওয়ামী লীগ করি সামান্য ছোটোখাটো বিষয় নিয়ে দলে নেতাকর্মীদের মধ্যে যে সমস্যা তৈরী হয়েছে এই সমস্যা সমাধান করা হবে আমার অন্যতম প্রধান কাজ।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। মৌলভীবাজার চার অর্থাৎ শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ থেকে ষষ্ঠ বারের মতো নির্বাচিত সফল জননেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযুদ্ধা আলহাজ্ব ড.আব্দুস শহীদ এমপি মহোদয়ের নির্বাচনীয় প্রচারণায় নিজে দেশে অবস্থান করে কমলগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে মাইলের পর মাইল হেটে হেটে উপাধ্যক্ষ ড.আব্দুস শহীদ এমপি মহোদয়ের জন্য নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন তিনি। সেই সাথে সমস্ত জেলায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পালন করেছেন তরুণ সুদর্শন এই নেতা।

ভানুগাছ এলাকার তরুণ ভোটার শিক্ষার্থী আবু সালেহ বিডিমর্নিংকে বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বর্তমান মন্ত্রণালয়েও তারুণ্যের জয় গান। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি তরুণদের হাতে নেতৃত্ব আসলে দুর্নীতি কমতে বাধ্য আর যতদূর জানি শাকুর খাঁন ভাই এমনিতেই আর্থিভাবে সচ্ছল। তিনি জনগণের সেবা করার জন্য পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নের জন্যই নির্বাচনে আসতে চান। তরুণ এ শিক্ষার্থী বলেন, একজন তরুণ মেধাবী এবং পরোপকারী মানুষ হিসেবে শুধু আমার ভোট নয় আমার পরিবারের সবকটি ভোট শাকুর ভাই পাবে এটা প্রায় নিশ্চিত।

শমসেরনগর এলাকার চিকিৎসক ও সাংবাদিক রাজকুমার সেন বলেন, তরুণদের হাতে নেতৃত্ব আসলে দ্রুত দেশ এগিয়ে যাবে সে হিসেবে ক্লিন ইমেজধারী পরোপকারী মানুষ হিসেবে আমি শাকুর ভাইকেই সমর্থন করি।

ভানুগাছ বাজারের কৃষক সেলিম মিয়া জানান, শাকুর ভাই খুব ভালো মনের একজন মানুষ, দেশে থাকতেও যেকোনো মানুষের বিপদে-আপদে তিনি দৌড়ে যেতেন। আমি শুনেছি তিনি নির্বাচন করবেন, শাকুর ভাইয়ের জন্য আমার দোয়া আছে।

উপজেলার শমসেরনগর বাজারে রিক্সা চালক আলাউদ্দিন মিয়া জানাণ, শাকুর ভাইয়ের অনেক সুনাম আমি শুনেছি। তিনি পরোপকারী মানুষ। মানুষের সেবা করার জন্যই তিনি নির্বাচন করবেন কারণ তার যে সম্পদ আছে তা শেষ হবার নয়। তিনি টাকা উপার্জনের জন্য নয় বরং নিজের উপার্জিত টাকা দিয়ে এলাকার উন্নয়ন করবেন এটা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি।

চা শ্রমিক ললিতা বাড়ৈ জানান, শাকুর ভাই একবার আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন এবং আমার মতো এই গরিবের ঘরে তিনি ভাতও খেয়েছেন। এমন লোকই আমাদের দরকার, যারা আমাদের সুখে-দুঃখে পাশে থেকে খোঁজ খবর রাখবেন। শাকুর ভাই বিদেশে থেকেও অনেক চা শ্রমিকের সন্তানদের অর্থ দিয়ে পড়াশুনার জন্য সহযোগিতা করেছেন। তিনি সত্যিই খুব ভালো মানুষ। 

Bootstrap Image Preview