Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাংলাদেশি ওষুধ নিতে আগ্রহী ফিলিপাইন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারী ২০১৯, ০৭:০৯ PM
আপডেট: ২৩ জানুয়ারী ২০১৯, ০৭:০৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


বাংলাদেশ থেকে ওষুধ কিনতে আগ্রহী ফিলিপাইন। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিকে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত ভিসেন্ট ভিভেনসিও টি বানদিলো।

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের বানিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে প্রায় সাত মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ওষুধ রফতানি হলেও এ ক্ষেত্রে দেশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

তিনি বলেন, গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ফিলিপাইনে ৪৭.০৪ মিলিয়ন মার্কিন ডণার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। একই সময়ে ৮.০৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে।

টিপু মুনশি বলেন, দেশে বিনিয়োগের জন্য ফিলিপাইনের প্রতি আহ্বান জানানো হলে রাষ্ট্রদূত এ আগ্রহের কথা জানান। আগামী দিনে উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক সামগ্রী, এ্যাগ্রো ফুড প্রসেসিং ও চামড়া শিল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে ফিলিপাইন। সেবা খাতে ফিলিপাইনের কিছু জনবল দেশে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্পেশাল ইনোকনমিক জোনে ফিলিপাইন বিনিয়োগ করবে। বর্তমানে ফিলিপাইনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য খুব বেশি নয়। বাংলাদেশ ফিলিপাইনে প্রধানত তৈরি পোশাক শিল্পের এক্সেসরিজ, ওষুধসহ কিছু পণ্য রফতানি করে আসছে।

এর আগে বুধবার রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডসংলগ্ন ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চার দিনের ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফ্রেবিক শো-২০১৯ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শিল্প খাতে আমাদের অবদান ৩৩ দশমিক ৭১ শতাংশ। আমি আজ কমার্স মিনিস্টার হয়েছি, কিন্তু ২৫ বছরের বেশি উল্টো টেবিলে বসেছি। দাবিদাওয়া যা কিছু আছে তা নিয়েই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি।

টিপু মুনশি বলেন, তিন দিন আগে আমার কাছে ঢাকা চেম্বারের প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। তারাও অনেক দাবিদাওয়া তুলে ধরেছেন।

আমি তাদের বলেছি- মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছি মাত্র বোধহয় ৭ থেকে ১০ দিন হয়েছে। বড়জোর ১৫ দিন হয়েছে। তার আগ পর্যন্ত তো আমি আপনাদের ওই দিকের টেবিলেই ছিলাম।

আজকে এদিকে আছি বলে, এদিকে বসার পর আমি আমার সুরটা পাল্টাব না। আমি আপনাদের মতো করেই কথা বলব। আপনাদের মতো করেই দেশের শিল্পকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেভাবে আপনাদের সঙ্গে থাকব, কাজ করব। সবসময় আমার একটিই চিন্তা- কেমন করে দেশটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, বলেন তিনি।

Bootstrap Image Preview