ময়মনসিংহে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের এক শিক্ষককে মারধর করেছে ট্রাফিক পুলিশ। পরে এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থী এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে ও লাঠিচার্জ করে। এতে ৫ পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
জানা যায়, ময়মনসিংহের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের সহকারী অধ্যাপক শরীফুল আলমকে থানায় ধরে নিয়ে যাওয়ার 'গুজবে' ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা হামলা করে পুলিশের ওপর।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ আবিদ হোসেন জানান, নগরীর টাউনহল মোড়ে ওই শিক্ষকের গাড়ির সাথে এক অটোরিকশার ধাক্কাকে কেন্দ্র করে অটো চালকের সাথে শিক্ষক শরীফুল আলমের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে সেখানে থাকা ট্রাফিক পুলিশ বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করতে আসলে তার সাথেও বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ওই শিক্ষক। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিও হয়।
পরবর্তীতে বিষয়টি সুরাহার জন্য ওই শিক্ষককে ২নং পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। ইতোমধ্যে গুজব ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষককে লাঞ্ছিত ও আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। এমন গুজবে ওই কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী কোতোয়ালী মডেল থানায় গিয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থানা পুলিশও ফাঁকা গুলি ছুড়ে ও লাঠিচার্জ করে। এতে ৫ পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়।
আহত শিক্ষক শরিফুল আলম বলেন, ওই অটোরিকাশার চালকের সঙ্গে আমার বাকবিতণ্ডার সময় যানজট সৃষ্টি হলে ওই ট্রাফিক পুলিশ এসে আমাকে ধাক্কা দেয়। আমি শিক্ষক পরিচয় দিয়ে তাকে ধাক্কা দেয়ার কারণ জানতে চাইলে সে আবারও আমাকে ধাক্কা দেয়। পরে আমিও তাকে ধাক্কা দিলে কয়েকজন পুলিশ এসে আমাকে মারধর করে ২নং পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেও আমাকে গালমন্দ করে। পরে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আমাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের শিক্ষককে লাঞ্ছিত ও মারধর করেছে পুলিশ। এতে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা থানা ঘেরাও করলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়।