আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্ব ইজতেমা করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাবলীগ জামাতের দু’পক্ষ। এছাড়াও এবার আর ইজতেমায় যোগ দিতে আসছেন না দিল্লির মাওলানা সাদ।
বুধবার সচিবালয়ে তাবলীগের বিবাদমান দু’পক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
এসময় তিনি বলেন, ‘তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষের সবাই এসেছিলেন। দীর্ঘ আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী মাসের (ফেব্রুয়ারি) যে কোনো সময়ে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। দু’পক্ষই সেই ইজতেমাটা করবে।’
এর আগে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের বিবাদ মেটাতে বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর অফিসে সভা হবে সেখানে কবে কখন কীভাবে ইজতেমা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে উভয় পক্ষের দুইজন সব সময় বসে সিদ্ধান্ত নেবেন। তারা যৌথভাবে বিশ্ব ইজতেমার নেতৃত্ব দেবেন।
প্রসঙ্গত,
২০১৮ সালের বিশ্ব ইজতেমার পর তাবলিগ জামাতের দুপক্ষ আলাদাভাবে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করে। নিজামুদ্দীন মার্কাজপন্থী মাওলানা সাদের অনুসারীরা ১১, ১২ ও ১৩ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করেন। এর বিরোধিতা করে ১৮, ১৯ ও ২০ জানুয়ারি ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করে হেফাজতপন্থী মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা। এ নিয়ে সারা বছরই উত্তেজনা থাকে। গত ১ ডিসেম্বর টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে এ নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও হয়। সংঘর্ষে দুজন নিহত ও শতাধিক আহত হন।
এরপর গত ১৭ জানুয়ারি দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মাওলানা আবুল কাসেম নোমানির সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের (সা’দপন্থী ও সা’দবিরোধী) সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কারও সঙ্গেই সম্পর্ক না রাখার ঘোষণা দেয় ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
এ নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের গাজীপুরের টঙ্গীতে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চিত দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আজ বুধবার দুপুরে তাবলিগ জামাতের এই দুইপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।