সুনামগঞ্জে যোগেন্দ্র দাশ হত্যা মামলায় এক আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর নাম নির্মল চন্দ্র দাশ। সে জেলার ছাতক উপজেলার চাইরচিরা গ্রামের বিনোদ চন্দ্র দাশের ছেলে।
মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন ওই রায় দেন।
একই মামলায় অপর দুই আসামীকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। এছাড়া এক আসামী মামলা চলাকালীন সময়েই মৃত্যুবরণ করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জেলার ছাতকের চাইরচিরা গ্রামে ব্র্যাকের একটি সমিতির সভানেত্রী ছিলেন গ্রামের বিনোদ চন্দ্র দাশের স্ত্রী প্রভাষিনী দাশ।
গ্রামের বাসিন্দা নিয়তি বালা দাশ সদস্য হিসেবে ওই সমিতি থেকে ৮ হাজার টাকা ঋণ নেয়ার পর ১৯৯৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সকালে তিনি ঋণের কিস্তির টাকা দিতে গেলে কিস্তি দিতে দেরি হওয়ায় প্রভাষিনী দাশের ছেলে বিমল চন্দ্র দাশ তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে।
এ ঘটনায় ওই দিনই গ্রামের বাউসা বাজারে একটি সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
যোগেন্দ্র চন্দ্র দাশ বোন নিয়তিকে নিয়ে ওই বৈঠকে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যোগেন্দ্র দাশ দিবাগত রাতেই তিনি মারা যান।
এরপর নিহতের ভাই জিতেন্দ্র কুমার দাশ বাদী হয়ে বিনোদ চন্দ্র দাশ, তার তিন ছেলে নির্মল চন্দ্র দাশ, বিমল চন্দ্র দাশ ও শ্যামল চন্দ্র দাশসহ ২০জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
আদালত মামলার রায়ে আসামি নির্মল চন্দ্র দাশ ওরফে নির্মল কুমার দাশকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০হাজার টাকার জরিমানার আদেশ দেন। মামলার অপর দুই আসামি বিমল চন্দ্র দাশ ও শ্যামল চন্দ্র দাশকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, আদালতের সহকারি সরকারি কৌসঁলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট সৈয়দ জিয়াউল ইসলাম।