নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় সরকারি আশ্রায়ন প্রকল্পের বিনামূল্যের নির্মাণ করা বসতঘরের মালিক অসহায় বিবি হালিমার কাছ থেকে স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার ফিরোজ আলম ১০ হাজার টাকা চাঁদা নেওয়ার প্রতিবাদ করায় মো: দুলাল নামের এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড দক্ষিণ রাজারামপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় আহত যুবলীগ নেতাকে স্থানীয়রা দ্রুত সেনবাগ সরকারি হাসপাতালে ভর্র্তি করে।
জানা যায়, ঘটনাটি ঘটার পূর্বে ভুক্তভোগী বিবি হালিমা মেম্বারের চাঁদাবাজির বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ছিলেন।
আহত হাসপাতালে চিকিৎসার্ধীন দুলাল জানান, উপজেলার হরলদীঘির পাড়ে রিক্সাচালক মাবুল হকের স্ত্রী বিবি হালিমাকে আশ্রায়ন প্রকল্প থেকে এক লক্ষ টাকা ব্যয়ে বিনামূল্যে উপজেলা প্রশাসন একটি ঘর করে দেয়। কিন্তু স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার আওয়ামী লীগ নেতা ফিরোজ ওই ঘরটি তিনি এনে দিয়েছেন এ দাবী করে হালিমার নিকট ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন।
গরীব অসহায় রিক্সাচালকের স্ত্রী বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে মেম্বার ফিরোজসহ তার ক্যাডার বাহিনী। এরপর হালিমাকে দেখে নিবে বলে হুমকি দমকি দেয় মেম্বার। নিরুপায় হয়ে গত ১২ জানুয়ারী বিবি হালিমা চাঁদাবাজির বিষয়টি লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালে নির্বাহী অফিসার বিষয়টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
এতে ইউপি মেম্বার ফিরোজ প্রতিবাদকারী দুলালেকে সন্দেহ করে এবং সোমবার (২১ জানুয়ারি) রাতে ফিরোজের নেতৃত্বে পারভেজ, সুমন রবিন, মন্নান সহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী দুলালকে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এসময় তারা বেশ কয়েকটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো এলাকায় আতংক সৃষ্টিকরে তারা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মেম্বারের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও ফোনটি রিসিভ করা হয়নি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন ভূঁইয়াম মঙ্গলবার বিকেলে গণমাধ্যমকে জানান, অপরাধী যেই হোক তাদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
সেনবাগ থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।