গাজীপুরের শ্রীপুরে মুক্তিপণের দাবিতে শিশু আঁখি মনিকে (৭) অপহরণের একদিন পর উদ্ধার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ। সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করে সন্ধান না পেয়ে সোমবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করে এবং অপহরণকারী দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার মগলিশপুর গ্রামের মৃত আনসার আলীর ছেলে শফিকুল ইসলামকে (৩০) গ্রেফতার করে।
উদ্ধারকৃত শিশু আাঁখি কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার জালালপুর গ্রামের মৃত রুবেল মিয়া ওরফে হৃদয়ের মেয়ে। সে তার মায়ের সাথে শ্রীপুর পৌরসভার বেড়াইদেরচালা এলাকার সারফুলের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় আইডিয়াল কিন্ডারগার্ডেনের নার্সারী'তে পড়ে। তার মা রাবেয়া খাতুন স্কুলের নিকট দূরত্বে তাকওয়া পোশাক কারখানায় শ্রমিকের চাকরি করে।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজীব কুমার সাহা জানান, সোমবার বেলা ১২ টায় স্কুল ছুটির পর বাসায় ফেরার পথে আঁখিকে অপহরণ করে শফিকুল ইসলাম। শিশুর মা মধ্যাহ্ন বিরতিতে বাসায় এসে আঁখিকে দেখতে না পেয়ে সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে। না পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
পরে অপহরণকারী শফিকুল অপহৃতার মায়ের স্বজনের মুঠোফোনে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং ক্ষুদে বার্তায় পুলিশকে কিছু না জানানোর পরামর্শ দেয়। পুলিশকে জানালে তার শিশু কন্যাকে জীবনে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়।
পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে মুঠোফোনের নম্বরের অবস্থান নিশ্চিত হয়। পরে অপহরনকারীর দেয়া শর্ত অনুযায়ী গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় পুলিশ উপস্থিত হয়। পরে ওই এলাকার একটি পরিত্যক্ত ভবনের দু’তলা থেকে শিশু আঁখি মনিকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) জাবেদুল ইসলাম জানান, অপহরণকারী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দিনাজপুরের রেলওয়ে থানায় একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা রয়েছে। অপহরণকারীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।