Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নোয়াখালীতে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে শিশুসহ গুলিবিদ্ধ ১৭

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:১০ AM
আপডেট: ২৩ জানুয়ারী ২০১৯, ০১:০০ PM

bdmorning Image Preview


নোয়াখালীর সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষ ও গোলগুলির ঘটনা ঘটেছে। হামলায় এক শিশুসহ ১৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে খলিফারহাট বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হচ্ছেন রামহরিতালুক গ্রামের সবুজ (২৩), শান্ত (১২), বারাইপুর গ্রামের সোলায়মান (২৮), সুমন (২৩), সুজন (২৪), আলমগীর (৩০), মিরাজ (২৪), জসিম উদ্দিন (৪৫), ওহিদুল ইসলাম (৩০), মাসুদ (৩৫), মঞ্জু (২২), জিয়া উদ্দিন (২০) ও মনির আহম্মদ (২৭)সহ ১৭জন। অপর আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে ১০জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় যুবলীগ নেতা ও ৮নং ইউপি সদস্য জহির উদ্দিনের সাথে উপজেলা আ’লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান শিপনের বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে পূর্বেও তাদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

জহির মেম্বার অভিযোগ করে বলেন, গত বছরের ১১ডিসেম্বর দুপুরে শিপনের নেতৃত্বে তার উপর হামলা চালানো হয়। এসময় সন্ত্রাসীরা তার মাথায় গুলি ও তাকে কুপিয়ে জখম করে। পরে এই ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ৯জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের মধ্যে ৪জনকে জামিন দেয় এবং জহির, রফিকুল ইসলাম রাছেল ও পনির জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে মামলা জামিনপ্রাপ্তরাসহ শিপনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা পুন:রায় তার বাড়িতে হামলা ও গুলি চালায়। এতে তার ১০জন লোক গুলিবিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়।

তিনি আরো অভিযোগ করেন, শিপনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা খলিফারহাটে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও একটি মোটরসাইকেল নিয়ে যায়।

জহির মেম্বারের অভিযোগ অস্বীকার করে সদর উপজেলা আ’লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান শিপন বলেন, বিকেলে তিনি তার জামিন প্রাপ্ত সমর্থকসহ ১৪জন তিনটি মোটরসাইকেল ও একটি সিএনজি যোগে এলাকায় যাচ্ছিলেন। এসময় তারা জহির মেম্বারের বাড়ির সামনে পৌঁছলে মেম্বারের লোকজন তাদের উপর অর্তকিত গুলি চালায়। এতে তিনিসহ ৭জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। যার মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় মিরাজ ও আলমগীরকে ঢাকা নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, শিপনের নেতৃত্বে জামিনপ্রাপ্তরা জহির মেম্বারের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় ছররা গুলিতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Bootstrap Image Preview