তাইওয়ানের এক তরুণী, নাম তার গিগি উইয়ি। জীবনে তার একটাই নেশা আর সেটা হলো পর্বতারহণ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তিনি ‘বিকিনি পর্বতারোহী’ হিসেবে ব্যাপক পরিচিত। একক একটি পর্বত আরোহনের সময় সেখান থেকে গিরিখাতে পড়ে যান। সেখান থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়ে জরুরি সেবায় যোগাযোগও করেছিলেন।
কিন্তু, সেখানে এতটাই ঠাণ্ডা ছিল যে, রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গিগির মৃত্যু হয়। এখনও তার দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। দেহ সন্ধানে তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি’র খবরে বলা হয়, মৃত্যুর আগে গিগি জরুরি সেবার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, বৈরি আবহাওয়ার কারণে তার উদ্ধার তৎপরতা বিলম্ব হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, বরফ জমা আবহাওয়ায় রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গিগি মারা গেছেন।
গিগি সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়। তার মৃত্যুর খবরে ফেসবুক তাকে পর্বতারোহীদের জন্য অনুপ্রেরণা বলে স্মরণ করেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম খবর দিয়েছে, গিগি এবার একা তাইওয়ানের ইওশান জাতীয় পার্কের পর্বত আরোহনে গিয়েছিলেন।
তিনি যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় তার সাঁতারের বিকিনি পরা ছবি পোস্ট করেন, গিগি ততদিনে অভিজ্ঞ পর্বতারোহী হিসেবেই পরিচিত। বিভিন্ন সময়ে দেয়া তার ছবিগুলোতেও পর্বতারোহনের সঠিক সরঞ্জাম দেখা গেছে।
তাইওয়ান নিউজ জানিয়েছে, তিনবার উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেছে। কিন্তু, বৈরি আবহাওয়ার কারণে সেটি বাধাগ্রস্ত হয়। তবে আরেকটি গ্রুপ দেহ উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সোমবার তুষারে আবৃত গিগি উইয়ির মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, সেখানে রোববার রাতে তাপমাত্রা বরফ জমা মাত্রাই ছিল।
গিগি উইয়ি সর্বশেষ পোস্ট দেন গত ১৮ জানুয়ারি, যেখানে তাকে মেঘাছন্ন পরিবেশে পর্বতারোহনে দেখা যায়। তার ফেসবুক পেজের অনুসারি ১৮ হাজারের উপরে। এদের মধ্যে এক হাজারের বেশি মানুষ মন্তব্য করেছেন, যাদের বেশিরভাগের কাছেই স্পষ্ট না তিনি জীবিত, না মৃত।
তবে, মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পরে অনেকেই তাকে গভীরভাবে স্মরণ করেছেন। তারা তাকে তরুণ পর্বতারোহীদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।