Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে লস করতে হলে পরিকল্পনার প্রয়োজন: অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারী ২০১৯, ০৮:৫১ PM
আপডেট: ২১ জানুয়ারী ২০১৯, ০৮:৫১ PM

bdmorning Image Preview


অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে লস করতে হলে পরিকল্পনার প্রয়োজন হবে। আর লাভ করতে চাইলে পরিকল্পনার প্রয়োজন নেই, বিনিয়োগ করলেই হবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য উত্তম জায়গা। আগামীতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য জায়গা পাওয়া যাবে তাই এখনই বিনিয়োগের উত্তম সময়।

তিনি বলেন, স্পেশাল ইকোনোমিক জোন করে কাইকো খুবই লাভজনক ব্যবসা করতে পারবে কেননা বাংলাদেশে স্পেশাল ইকোনোমিক জোনের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল। বাংলাদেশ দিনে দিনে শুধু সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। অগ্রগতির সকল খাতে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। তাই এখনই বিনিয়োগের সুবর্ণ সময়।

সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের অর্থমন্ত্রীর সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন কোইকার প্রেসিডেন্ট লি মি-কিউং। এ সময় বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন।

কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজন্সীর (কোইকা) প্রেসিডেন্ট লি মি-কিউং বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ ভাল। আমি দেশে ফিরে বাংলাদেশকে তুলে ধরবো, যাতে বিনিয়োগকারিরা এদেশে আসেন। ঢাকার যানজট ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও বাংলাদেশে বিনিয়োগে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছেন তিনি।

এ সম্পর্কে বলেন, এক সময় তাদের দেশেরও এই অবস্থা ছিল। এটা সমাধান যোগ্য সমস্যা। তাই তিনি দেশে ফিরে কোরিয়ার যারা এই সমস্যা নিয়ে কাজ করেন তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা দেবেন।

তিনি জানান, কোইকা ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশের ২৪টি প্রকল্পে ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। এখন চলমান টি প্রকল্পে ৫৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ১১২ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া সম্পর্কে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের সময় যেভাবে বাজ্ঞালীরা ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। সেই অবস্থা বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। এজন্য সাময়িক সমস্যা হলেও আশা করছি এই সমস্যার সমাধান হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, কোরিয়া ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, আইসিটি, মানব সম্পদ উন্নয়ন ইত্যাদি খাতে সহায়তা দিয়ে আসছে। ঢাকায় আন্ডাগ্রাউন্ড সাবওয়ে তৈরি হচ্ছে। এটি হলে যানজট কমবে। তা ছাড়া ঢাকা শহরকে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রামের যাতায়াতের সময় কমাতে দ্রুতগতির ট্রেন চালু করা হবে। যাতে ১ ঘণ্টা ৫ মিনিটে যাতায়াত করা যাবে এছাড়া গ্রামগুলোকে শহরে রুপান্তরিত করা হচ্ছে, যাতে গ্রামের মানুষকে আর শহরে আসতে না হয়। সমুদ্র সৈকতকে দুই ভাগে ভাগ করা হবে। এক দিকে থাকবে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য আর অন্যদিকে থাকবে দেশীয় পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত।

Bootstrap Image Preview