গাজা উপত্যকায় চলমান জ্বালানি সংকটে হাসপাতাল ও শিশুদের স্থাপনাগুলোতে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি নামতে পারে বলে হুশিয়ারি করা হয়েছে।
উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরা বলেন, ফিলিস্তিনির অন্তত পাঁচটি হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জ্বালানি না থাকায় জেনারেটরগুলো অকেজো হয়ে গেছে।
গত সপ্তাহে বাইত হানুন হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। কুদরা বলেন, গাজা হাসপাতালে কয়েক হাজার রোগী মারাত্মক পরিণতির হুমকিতে রয়েছেন।
শীতল আবহাওয়া ও বিদ্যুৎ সংকটে জ্বালানির ব্যবহার বাড়ছে। পাঁচ হাসপাতালে মাত্র ১৭ শতাংশ জ্বালানি মজুদ রয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কৃচ্ছ্রতা পদক্ষেপ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
আল রানতিসি হাসপাতালে সুফিয়ান সালেম নামে এক ফিলিস্তিনি তার এক বছর বয়সী শিশুকে নিয়ে এক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছিলেন। বাচ্চাটির শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা রয়েছে।
সালেম বলেন, এটি আমার ছোট ছেলে। তার শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা রয়েছে। এতে তার চেহারা নীল হয়ে যায়। ওর সমস্যা দেখা দিলে যে কোনো সময় হাসপাতালে ছুটতে হয় আমাদের।
পাঁচ সন্তানের বাবা সালেম বলেন, হাসপাতালের জ্বালানি সংকটের খবরে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। এটি বিশাল বিপর্যয়। যদি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যায়, তবে আমরা কোথায় যাব? এতে সব শিশু রোগী মারা যাবে। কেবল আমার শিশুই বিপদে পড়বে না।