ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈলে আসন্ন পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপকভাবে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহরিয়ার আজম মুন্না। এ ছাত্রলীগ নেতার পিতা মরহুম মিজানুর রহমান সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন, আমৃত্যু উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি এলাকার মানুষের মধ্যে একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা ছিলেন।
রাজধানী ঢাকা থেকে এসএসসি এইচসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগ থেকে অর্নাস ও মার্ষ্টাস পাস করেন তিনি। তিনি বড় পদের চাকরির সুযোগ পেয়েও তা না করে ছুটে এসেছেন নিজ এলকার মানুষের পাশে দাড়ানোর লক্ষে।
ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে শিক্ষা জীবনে তিনি শহীদুল্লাহ হল শাখা ছাত্রলীগের সমাজ বিষয়ক সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন।
এ ছাড়াও ১/১১ সময় শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকা পালন করে বলে জানান উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আ.লীগের দলীয় মনোনয় প্রত্যাশী শাহরিয়ার আজম মুন্না।
ছাত্রলীগের সাবেক এই কেন্দ্রীয় নেতা চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সে সময় প্রার্থী হয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আইনুল হকের সাথে ছাব্বিশ হাজার ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন।
এ সময় তৃতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নিবার্চিত চেয়ারম্যান সইদুল হক চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে প্রায় তের হাজার ভোট পেয়ে চতুর্থ অবস্থানে থাকেন।
অপরদিকে, উপজেলা আ.লীগের বহিস্কৃত (নির্বাচন করার কারণে) সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের প্রার্থী হয়ে আঠারো হাজার ভোট পেয়ে হন তৃতীয়। সে সুবাদে এলাকায় পিতার জনপ্রিয়তা ও নিজের ব্যক্তি ব্যবহারে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা তরুণ নেতা মুন্না আবারো এলাকার মানুষের চাওয়ায় সম্প্রতি কাশিপুর ধর্মগড় হোসেনগাও নন্দুয়ার সহ উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় মানুষের সাথে দেখা সাক্ষাত করে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দোয়া চেয়ে বেড়াচ্ছেন। এ সময় তিনি সাধারণ মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন পাচ্ছেন বলে জানা যায়।
শাহরিয়ার আজম মুন্না বলেন, আবার পিতা এলাকার মানুষের অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য ও জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। মানুষের বিপদের বন্ধু ছিলেন। আমার বাবা মারা যাওয়ার পর মানুষের পাশে দাড়ানোর লক্ষেই উচ্চ শিক্ষিত হয়েও চাকুরী না করে এলাকায় ছুটে এসেছি বাবার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য। তাই আমি আশাবাদী দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার।