Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঘুষ বাণিজ্যের সাগরে ভাসছে নরসিংদীর বিআরটি অফিস!

সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারী ২০১৯, ০৬:১৮ PM
আপডেট: ২১ জানুয়ারী ২০১৯, ০৬:১৮ PM

bdmorning Image Preview


১৮ লক্ষের অধিক জনসংখ্যা নিয়ে গঠিত নরসিংদী জেলাটি। এই জেলায় ৫২টি'র বেশি রয়েছে মূল সড়ক। প্রতিটি সড়কেই চলে সিএনজি, মোটরসাইকেলসহ ভারী যানবাহন। যেখানে সরকার কর্তৃক বাধ্যতামূলক ড্রাইভিং লাইসেন্স ও নাম্বার প্লেট করার বাধ্যকতা রয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সুযোগকে ব্যবহার করে বিআরটির কর্মকর্তারা প্রতিটি চালকের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্যসহ হয়রানীমূলক কাজ করে আসছে বলে অভিযোগ করেন চালকরা।

গত ১৫ জানুয়ারি প্রথম সংখ্যায় সংবাদ প্রকাশ করায় বেরিয়ে আরও চমক লাগানো তথ্য। এই বিআরটির দুর্নীতি বিষয়ে সংবাদকর্মী রুদ্র একটি সংবাদ প্রকাশ করলে বিআরটিতে থাকা দালাল ও দায়িত্বে থাকা প্রধান কর্মকর্তা হুমকিসহ বিভিন্ন হয়রানীমূলক কাজ করবে বলে হুমকি প্রদান করে।

নরসিংদী বিআরটি সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে দায়িত্বে থাকা প্রধান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য করায় তার বিরুদ্ধে দুটি বিভাগীয় মামলা রয়েছে।

এ দিকে এই বিআরটি কার্যালয়ে বিগত সময় ধরে অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করে চালকদের কাছ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির নাম্বার প্লেটের নামে মোটা অঙ্কের বাণিজ্য করে আসছে এই দালাল চক্ররা।অথচ ১৩ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সংবাদকর্মী রুদ্র বিআরটি কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকতেই ড্রাইভিং করতে আসা গ্রাহকরা অভিযোগ করে বলেন, বিআরটি এডির সহযোগিতায় এডির চেম্বারের সামনে টেবিল বসিয়ে হয়রানীসহ মোটা অঙ্কের বাণিজ্য করে আসছে এই চক্রটি।

গ্রাহকরা বলেন, টেবিলে টাকা দিলেই মেলে রানার কার্ডসহ ইন্টারভিউ ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স। আমরা সাধারণ গ্রাহকরা প্রধান কর্মকর্তার নিকট গেলে সরাসরি বলে দেয় টেবিলে কাছে টাকা জমা না হলে কাজ হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়।

বিআরটির দুর্নীতির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে দুদক গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ইং তারিখে দশ হাজার টাকা ঘুষসহ হাতেনাতে এক জনকে আটক করে।

দুদকের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিমের বলেন, আমরা এই বিআরটিতে হাতেনাতে ঘুষসহ এক জনকে আটক করেছি এবং আবারও আমাদের কাছে অভিযোগ করলে আমরা দ্রুত সময়ে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এ বিষয়ে নরসিংদী জেলার দুদকে কর্মরত আইনজীবী আব্দুল মজিদ শিকদার বলেন, সুমনকে সর্বোচ্চ সাজার দাবিতে আদালতের কাছে আমরা দাবি উপস্থাপন করব।

কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার পুনরায় এই অফিসটি দুর্নীতির একটি মাকড়সার জালের মতো পরিণত হয়। এ বিষয়ে যে কোন সংবাদকর্মীর সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে এড়িয়ে যায় কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (২১ জানুয়ারি) নরসিংদীর জজ কোর্টের ঈদগাহ মাঠে সিএনজি চালক হাবিবুর রহমান বলেন, বিআরটির দুর্নীতি নতুন কিছু ব্যাপার না। এই অফিসে ঘুষ না দিলে মিলে রানার কাজসহ ড্রাইভিং লাইসেন্স। তাই আমরা বাধ্য হয়ে মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়ে নিতে হয় ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ নাম্বার প্লেট।

এ দিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সরকার একদিকে এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের ক্ষেত্রে, অপরদিকে কিছু অসাধু কর্মকর্তারা ঘুষবাণিজ্য করে মানুষের আস্থাটাকে দ্রুততর সময়ে নষ্ট করছে। এ সমস্ত কর্মর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ বলে মনে করেন তারা।

Bootstrap Image Preview