কাবুলের অধিবাসীদের রোজই আত্মঘাতী ও বোমা হামলার আতঙ্ক নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে। খবরের কাগজে নিহতদের খবর পড়ছেন তারা। কিন্তু এই শীতের তাদের জন্য আরেক প্রাণঘাতী বিপদ এসে হাজির। আর তা হচ্ছে-বায়ুদূষণ।
শহরটিকে বিষাক্ত ধোঁয়াশার চাদর ঢেকে ফেলেছে। শীতে কাহিল মানুষ কয়লা, কাঠ, গাড়ির টায়ার ও আবর্জনা পুড়িয়ে নিজেদের উষ্ণ রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। আবার এসব পোড়ানোর কারণে ব্যাপক বায়ুদূষণ ঘটছে।
প্রতি সন্ধ্যা ও সকালে তাপমাত্রা যখন শূন্য ডিগ্রির নিচে নেমে যায়, তখনই দূষণে মানুষের নাভিশ্বাস ওঠে যায়।
সালফেট, কালো কার্বনের মতো বিষাক্ত বস্তুকণা বাতাতে মোটা পর্দার মতো ঝুলে থাকে। এতে মানুষের দৃষ্টিগোচরতা কমে যায়, শ্বাসপ্রশ্বাস কঠিন করে দেয়।
অধিবাসীরা বলেন, শহরের বায়ুর মান ক্রমে খারাপের দিকে যাচ্ছে। চিকিৎসকদের দাবি, মানুষের শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত রোগও বাড়ছে।
কাবুলে ইন্দ্রিরা গান্ধী শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক আকবর ইকবাল বলেন, আগের বছরগুলোতে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষ শ্বাসযন্ত্র সংক্রমণে হাসপাতালে এসে ভর্তি হতেন। কিন্তু চলতি বছরে তা বেড়ে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে। শীত ও বায়ুদূষণের কারণেই এমনটি ঘটছে বলে আমি মনে করি।
কাবুলে মৌসুমি বৃষ্টি ও তুষারের অভাবের সঙ্গে মিলে জনসংখ্যা ও ধোয়া উদগিরণ করা যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ডিজেলচালিত জেনারেটর। এতে কাবুলের বায়ুর মান একেবারে নিচে নেমে গেছে।