শক্তিশালী কুমিল্লা ভেক্টোরিয়ান্সকে ৩৮ রানে হারিয়ে দিলো রাজশাহী কিংস।
প্রথমে টসে হেরে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭৬ রান করে রাজশাহী।
১৭৭ রানের লক্ষে ব্যাটিং করতে নেমে তামিম ও বিজয়ের শুরুটা ভালোই ছিলো। এই জুটি থেকে ৩৭ রান আসে। এরপর ৬ ওভারের মাথায় তামিম ২৫ রান করে বিদায় নিলে বিজয়ের সাথে ব্যাটিং করতে আসেন শুভো।
তামিমের মত শুভোর সাথে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন বিজয়। কিন্তু তাঁর সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। দশ ওভারের মাথায় তিনিও ২৬ রান করে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান সাজ ঘরে।
এরপর ইমরুল, জিয়া , শুভো ও পেরেরা তো কিছুই করতে পারলেন না। কিংস বোলার কামরুল ইসলাম রাব্বীর বোলিং ঝড়ে ব্যাটিং বিপর্যয় ঘটে কুমিল্লার। সেই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে ব্যর্থ হয় তারা। অবশেষে ৩৮ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইমরুলরা।
কুমিল্লার সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ ১০/১৩৮
তামিম(২৬), বিজয়(২৫),শুভো(১৫),জিয়া(১২), ইমরুল(১৫), পেরেরা(০), আফ্রিদি(১৯), ডাওসন(১৭), সাইফউদ্দিন(০), রিয়াজ(১)*, মেহেদী(১)।
উইকেট নিয়েছেনঃ রাব্বী(৪), কাইস(২), ডেস্কট(২), সানী(১), মোস্তাফিজ(১)।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো করতে পারেনি মিরাজরা। প্রথম ৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে রাজশাহী। কিন্তু এই দিন দেশি খেলোয়াড়রা ব্যর্থ হলেও ম্যাচের হাল ধরেন দুই বিদেশি ইভান্স ও ডেস্কট। এই দুই ব্যাটসম্যানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১৭৬ রানে থামে রাজশাহীর ইনিংস।
চলতি বিপিএলে দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে সেঞ্চুরি করলেন ইভান্স। এই সেঞ্চুরি করতে তিনি ৮টি চার ও ৬ টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। অন্যদিকে ডেস্কটও ফিফটি করেছেন।
রাজশাহীর সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ ১৭৬/৩
নাফিস(৫), মিরাজ(০), মার্শাল(২), ইভান্স(১০৪), ডেস্কট(৫৯)।
উইকেট নিয়েছেনঃ ডাওসন(২), মেহেদী(১)।
৬ ম্যাচে ৪ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে আছে ইমরুলের কুমিল্লা। অন্যদিকে ৬ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে আছে মিরাজের রাজশাহী।
রাজশাহী কিংসঃ মেহেদী হামসান মিরাজ, মূস্তাফিজুর রহমান,জাকির হোসেন,শাহরিয়ার নাফিস, মার্শাল আইয়ুব, আরাফাত সানী, কামরুল ইসলাম রাব্বী,প্রশান্ন,জঙ্কের, উদানা, রায়ান টেন।
কুমিল্লা ভেক্টোরিয়ানঃ বিজয়, তামিম, শুভো, ইমরুল, ডাওসন, মেহেদী, সাইফউদ্দিন, পেরেরা, আফ্রিদি, ওহাব, জিয়া।