হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় আউশকান্দি-নবীগঞ্জ-ইমামবাড়ি-হবিগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ফলে মহাসড়কের সংস্কার কাজে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন এলাকাবাসী।
ঠিকাদারের লোকজন বালু পাথর বিটুমিনসহ সবকিছুতেই ভাগ বেশী ও দিচ্ছে কম থিকনেস। দিনের কাজ রাতে করছে,ঐ সড়কে কোন পানি ব্যবহার না করায়, ধুলাবালির জন্য ঐসড়ক দিয়ে চলাচল করা মুশকিল।অনিয়মের অভিযোগে জনগন ঐ সড়কের নির্মান কাজ বন্ধ করে দিছে গত দুদিন যাবৎ। কাজে নানা অনিয়ম চললেও কার্য প্রদানকারী সরকারি দপ্তর সড়ক ও জনপথ বিভাগ রয়েছে নির্বাক।
জানা গেছে, আউশকান্দি-নবীগঞ্জ-ইমামবাড়ি-হবিগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ২২০০ মিটারের মেরামত কাজ পান সিলেটের তিনটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যৌথ প্রতিষ্ঠান জে ও এন জেব। সূত্র মতে, তিনি প্রায় ৩ মাস আগে এ সড়কের কার্যাদেশ পান; ঐ প্রতিষ্ঠান এক সপ্তাহ পূর্বে কাজ সংস্কার কাজ শুরু করেন।
সরেজমিনে নবীগঞ্জ উপজেলার বাংলা বাজারের পূর্ব দিকের রাস্তায় গত শুক্রবার সকালে সিলকোটের (পিচের) কাজ চলতে দেখা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা দিপন, ইউপি মেম্বার আব্দুল মুকিত, প্রমুখ অভিযোগ করেন দীর্ঘদিন ধরে সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে লোকজন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ঠিকাদার কয়েকদিন আগে কাজ শুরু করেছেন। ধুলাবালির মধ্যে সিলকোটের কাজ চালিয়ে গেছেন। তারা শুনেছেন প্রায় ৩ মাস আগে প্রায় ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এ কাজের কার্যাদেশ দিয়েছে। এ ছাড়া কাজের থিকনেস ৫০ এমএম থাকার কথা থাকলেও ৩৫/৪০ এমএম থিকনেস দিয়ে উক্ত কাজ করা হচ্ছে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে অনেক কম থিকনেস দেওয়া হচ্ছে। যা নিয়ে এলাকার সচেতন মহলে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এতসব অনিয়মের পরও সড়ক ও জনপথ বিভাগের নীরবতায় তারা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ঠিকাদার লুৎফুর রহমান জানান, কাজ শুরুর পর কিছু লোক অবৈধ ফায়দা আদায় করার জন্য চেষ্টা করছে, তারা কাজ সঠিক ভাবে করছেন, কিন্তু লোকজন অহেতুক বাধা দিলে তাদেও কিছু করার নেই। তাছাড়া কোথাও পিচ ওঠেনি এবং কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি বলে তিনি দাবি করেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানান, সংশ্নিষ্ট ঠিকাদার এ সড়কে ৫০ মিলি এমএম থিকনেসের মধ্যে সঠিক মতে ২০ মিটার সিলকোটের কাজ পেয়েছেন।
তিনি বলেন কাজ কেন বন্ধ হয়েছে তিনি তা জানেন না, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লিখিত দিলে সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন কোথায় কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেবেন। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সঠিক উপায়ে কাজ হচ্ছে, কেউ কোন অনিয়ম করলে সেটা খতিয়ে দেখা হবে আর ধুলাবালির জন্য পানি দেযার কথা রয়েছে। এ দিনের কাজে থিকনেস কম হতে পারে। তবে তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।
আউশকান্দি-নবীগঞ্জ-ইমামবাড়ি-হবিগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের সংস্কারের সার্বিক বিষয় জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ বিন হাসান বলেন, অন্যান্য রাস্তার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলজিআরডি, সড়ক ও জনপদের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বিষয় সম্পর্কে অবহিত আছেন। আমি এবিষয়ে ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।