গত বছর রোজার সময় মিরপুর ১১ নম্বর সিএনজির ধাক্কায় পায়ের হাটুতে গুরুতর আঘাত পাওয়ার পর টানা ৪মাস বিশ্রামে ছিলেন।
এরপর তো তাঁর ক্রিকেট খেলা প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছিলো। নিজেও মানসিক ভাবে হতাশ ছিলেন ক্রিকেট খেলা নিয়ে। কিন্তু কথায় আছে না, রাখে আল্লাহ মারে কে? ঠিক যেন তাই হলো।মায়ের অনুপ্রেরণায় আবার হাতে তুলে নিলেন ব্যাট। এনসিএল , বিসিএলে করলেন দুর্দান্ত পারফম্যান্স। সেই পারফম্যান্সের ফল হিসাবে চলতি বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে চিটাগং ভাকিংসের দলে জায়গা পেলেন আজকের ইয়াসির আলী চৌধুরী।
কিন্তু দলে জায়গা পেলেও একাদশে জায়গা পাচ্ছিলেন না এই ডান-হাতি ব্যাটসম্যান। তাঁর জায়গায় খেলছিলেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল। তাই সেই জায়গায় তাঁর খেলার সুযোগ পাওয়া খুবই কঠিন।
কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচে দীর্ঘ দিন মাঠের বাহিরে থাকা আশরাফুল কিছু করে দেখাতে পারলেন না। ব্যর্থ হলেন টিম ম্যানেজমেন্টের মন জয় করতে। দুই ম্যাচে তিনি ২৫ রান করেন।
তাই অনেকটা বাধ্য হয়ে ইয়াসির আলীকে মাঠে নামান তারা। সুবর্ণ এই সুযোগ যেন লুফে নিলেন ইয়াসির।
খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে ৪১ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন। প্রথম ম্যাচেই দৃষ্টিনন্দন শর্ট খেলে জয়ে করে নিলেন নির্বাচকদের মন। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ রান করলেও তৃতীয় ম্যাচে বিপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিও তুলে নিয়েছে চিটাগংয়ের এই ছেলে।
ইয়াসিরের দুর্দান্ত এই পারফম্যান্সের কারণে একাদশে এখন নিয়মিতই থাকছেন। অন্যদিকে দর্শক হয়ে মাঠের বাহিরে থাকছেন আশরাফুল।
বিপিএলে ভালো পারফম্যান্স করে আবারো জাতীয় দলে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অ্যাশ।
কিন্তু সেই বিপিএল যেন তাঁর দুঃস্বপ্ন হয়ে গেল। ফিটনেস আর অফ ফর্মে থাকায় দলেই নিয়মিত হতে পারছেন না এই ডান-হাতি ব্যাটসম্যান অলরাউন্ডার।পারফম্যান্সতো দূরের কথা। পারফম্যান্স খারাপ করেও দলে জায়গা পেতেন যদি ইয়াসির আলীর পারফম্যান্স খারাপ হতো। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট চাইলে তাকে খেলাতে পারেন।সেটি তাদের ব্যাপার। ততক্ষণ সেই অপেক্ষায় আশরাফুল।