বিশ্বম্ভরপুরে কাজ দেয়ার কথা বলে মহিলাকে গণধর্ষণ

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে কাজ দেয়ার কথা বলে ফের হতদরিদ্র পরিবারের স্বামী পরিত্যাক্ত এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। 

রবিবার (২০ জানুয়ারি) ওই ঘটনায় সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলায় অভিযুক্ত আসামীরা হলেন- বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের গুলগাঁও গ্রামের সুজন মিয়া, মিরাজ মিয়া, দিদার হোসেন, শাহ আলম, লক্ষীপার গ্রামের মজনু মিয়া ও পলাশ ইউনিয়নের নতুন গুলগাঁও গ্রামের আকবর আলী।

গণধর্ষণের শিকার ওই মহিলার পক্ষে তারই খালু বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, উপজেলার তেলিকোনা গ্রামের স্বামী পরিত্যক্ত হতদরিদ্র পরিবারের এক সন্তানের জননীকে ঢাকায় কাজ দেয়ার কথা বলে একটি চক্র ১৬ জানুয়ারী বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায়।

এরপর উপজেলার গুলগাঁও গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে সুজন মিয়ার নেতৃত্বে এলাকার দীগলবাঁক ও গুলগাঁও গ্রামের মধ্যবর্তী নির্জন হাওরে নিয়ে গিয়ে ওই রাতে ওই মহিলাকে ৬ জন সংঘবদ্ধ হয়ে পালাক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলেও ধর্ষণকারীরা ফের ওই ধর্ষিতা মহিলাকে মারধর করে। 

স্থানীয়রা নির্যাতনের শিকার ওই মহিলাকে রক্তাত্ত অবস্থায় রাতেই উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী নিরঞ্জন দাস তালুকদার বলেন, আদালত বাদীর লিখিত পিটিশনটি আমলে নিয়েছেন এবং তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসির দায়িত্বে থাকা এসআই পবিত্র কুমার সিংহ সোমবার (২১ জানুয়ারি) জানান, আদালতের কাগজ পত্র এখনো এসে থানায় পৌছেনি।

প্রসঙ্গত, এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে ওই থানা এলাকায় বেড়াতে এসে বাক প্রতিবন্ধী এক সাঁওতাল তরুণী ধর্ষণের শিকার হলেও থানা পুলিশ কার্যত এখনো কোন ধরণের দৃশ্যমান আইনি পদক্ষেপ নেয়নি বলেও নানামুখী অভিযোগ উঠেছে।