চিকিৎসার জন্য আবারও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বৃক্ষমানব হিসেবে পরিচিত আবুল বাজানদার।
আজ সোমবার বোর্ড গঠন করে নতুন করে তার চিকিৎসা শুরু করা হবে। এর আগে রবিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় মা আমেনা বেগমকে সঙ্গে করে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আসেন আবুল বাজানদার। তিনি বার্ন ইউনিটে অবস্থান করছেন। তার হাতে নতুন করে শেকড় গজিয়েছে।
আবুল বাজানদার জানান, ২০১৬ সালে তিনি ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হন। আড়াই বছর হাসপাতালে ছিলেন তিনি। এখানকার চিকিৎসকরা তার হাতে ও পায়ে ২৫টি অস্ত্রোপচার করে। চিকিৎসার এক পর্যায়ে গত বছরের ২৬ মে তিনি কাউকে কিছু না জানিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। এত অস্ত্রোপচারেও ভালো না হওয়ায় তিনি হতাশ হন। এতে নিরাশ হয়েই তিনি পালিয়ে যান।
তিনি বলেন, ‘আমি ভুল বুঝতে পেরেছি। পালিয়ে যাওয়াটা ঠিক হয়নি। আমি বাঁচতে চাই, সাধারণ মানুষের মতো সুস্থ হয়ে কাজ করতে চাই। আবারও ফিরে এসেছি চিকিৎসার জন্য।’
ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাশ সেন বলেন, বাজানদার হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ার পর থেকেই ওর সঙ্গে আমি বারবার ফোনে যোগাযোগ করেছি। তাকে ফিরে আসতে বলেছি। সে ঠিকই ফিরে এসেছে তবে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
ওর চিকিৎসা আবারও আমরা প্রথম থেকে শুরু করব। বোর্ড গঠনের পাশাপাশি তার চিকিৎসার সব সিদ্ধান্ত আজ নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, আবুল বাজানদার গত ১০ বছর ধরে হাত-পায়ে শেকড়ের মতো গজিয়ে ওঠা বিরল এক জেনেটিক রোগে ভুগছেন। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ঢামেক হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় খরচে তার চিকিৎসা করার নির্দেশ দেন।