গত ১৪ জানুয়ারি মুন্সিগঞ্জের ট্রলার ডুবির ঘটনার ৫ দিন পরে এক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তার নাম পরিচয় জানা যায়নি।
রবিবার (২০ জানুয়ারি) ঘটনার ৬ষ্ঠ দিন দুপুরে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল লঞ্চঘাট এালাকার ২শ' মিটার উত্তরে মেঘনা নদীর পাড় থেকে ওই শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এখন পর্যন্ত ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার ও সনাক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চাঁদপুর ও মুন্সিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এর ডুবুরি সদস্যরা।
আজ দিনব্যাপী দায়িত্বে থাকা মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে লাশ উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সামীউল ইসলাম।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর জেলা নৌ পুলিশ এসপি জমশের, মতলব উত্তর থানার ওসি মো. কবির হোসেনসহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাবৃন্দ। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন ষাটনল ইউপি চেয়ারম্যান একেএম শরীফ উল্লাহ সরকার।
ইউএনও মো. শাহিদুল ইসলাম জানান, উদ্ধার হওয়া মরদেহ দেখে মনে হচ্ছে ৩/৪ দিন পূর্বের। কিন্তু এটি ট্রলার ডুবির ঘটনার মরদেহ কি না এটা এ মুহুর্তে বলতে পারছি না। তবে নিখোঁজ শ্রমিকদের পরিবারের লোকজন রওয়ানা হয়েছেন, তারা আসলে সনাক্ত করা যাবে মরদেহটি কার। এর পরে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তবে এখন লাশ পোস্ট মর্টেমে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (১৪ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক ৩টায় চাঁদপুরের মতলব উপজেলা ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী মেঘনা নদীতে ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় ওই ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। ট্রলারে ৩৪ জন শ্রমিক ছিলেন। এর মধ্যে ১৪ জন সাঁতরে তীরে উঠে আসতে সক্ষম হন। বাকী ১৯ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।