Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইউটিউবে ভিডিও দেখে কিশোরীর ভয়ঙ্কর কাণ্ড!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারী ২০১৯, ০৩:০৮ PM
আপডেট: ২০ জানুয়ারী ২০১৯, ০৩:০৮ PM

bdmorning Image Preview


ইউটিউবের একটি আইটেম দেখে মেয়েটি বিশ্বাস করে ফেলে যে মানুষ মারা গেলে আবার জীবিত হয়। অর্থাৎ আত্মা বেড়িয়ে যাবার পর ফের তা দেহে প্রবেশ করানো যাবে। অনেক সময় এমন প্রাণঘাতী বিশ্বাস দ্বারা তাড়িত হয় কোমলমতি শিশু-কিশোররাও।

ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ের ভোইভারা এলাকায় বেপরোয়া অন্ধবিশ্বাসের জের ধরে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছে এক কিশোরী। অভিভাবকরা জানায়, ১৪ বছর বয়সী তাদের মেয়েটি ইউটিউবে প্রায়ই অ্যাস্ট্রাল ট্রাভেল নামের একটি চ্যানেল দেখতো।     

ভিডিও দেখে দেখে তার বিশ্বাস জন্মায় যে আত্মা শরীর থেকে বের করে আবার ফিরিয়ে আনা যায়। একপর্যায়ে নিজের এই সর্বনাশা ধারণা হাতে কলমে প্রমাণ করার জন্য নিজেকেই গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করে। কিন্তু নিজের আত্মাকে শরীর থেকে বের করে দিতে পারলেও তা নিয়ে আর ফিরে আসতে পারেনি সে। পুলিশ তার সেলফোন  থেকে বেশকিছু ভিডিও ক্লিপ উদ্ধার করেছে।  ধারণা করা হচ্ছে ওই ধরনের ভিডিও তাকে আত্মঘাতী ওই পরীক্ষায় পরিচালিত করে থাকতে পারে। 

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানাযায়, 'চূড়ান্ত সাফল্য' অর্থাৎ সর্বনাশী কাণ্ডটা ঘটিয়ে ফেলার আগের সপ্তাহেও সে একবার এমন অপচেষ্টা চালিয়েছিল। সেবার মাটিতে শুয়ে বিশেষ কায়দায় স্বাস নেওয়া বন্ধ করে রেখেছিল সে। এটা দেখে অভিভাবকরা তাকে বাধা দেয় এবং বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পরের সপ্তাহে তার ‌কাজে যাতে কেউ বাধা দিতে না পারে তাই বাথরুমে ঢুকে গলায় ফাঁসি দেয় সে।

ফাঁসিতে ঝুলার পর সে বাঁচার চেষ্টা করে। এসময় অস্বাভাবিক শব্দ পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু বাঁচানো সম্ভব হয়নি তাকে। তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর পরিবারের সদস্যদের শোকে ভাসিয়ে মারা যায় সে। 

প্রসঙ্গত, গত বছরের জুনে ভারতে রাজধানী দিল্লির বুরারি এলাকার  ১১ সদসস্যের একটি পরিবার গণআত্মহত্যা করে যা ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি করে। তদন্তে এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, ওই পরিবারটি গোপন আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের ভিত্তিতে গণআত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। ইউটিউবে ইতিবাচক আর দরকারি হাজারো ভিডিও বা চ্যানেলের ভীড়ে বিপজ্জনক এবং ক্ষতিকর চ্যানেলেরও কমতি নেই।  পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে এসব বিষয়ে অভিভাবকদের কড়া নজরদারির বিকল্প নেই। 

Bootstrap Image Preview