প্রতিটি মানুষকের চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উৎযাপন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা তথা চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করা হবে। গ্রামে শহরের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যেন বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে সে জন্য শিক্ষাব্যবস্থা সাজানো হবে। প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় ও উপজেলায় কারিগরি কলেজ স্থাপন করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০২০ সালে বাংলাদেশ হবে দারিদ্রমুক্ত দেশ। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎযাপন করা হবে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত বিশ্বের দেশ। ২০৭১ সালে স্বাধীনতার শতবার্ষিকী পালন করা হবে এবং ২১০০ সালে ডেল্টাপ্লান বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশকে অত্যাধুনিক দেশে পরিণত করা হবে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ে তুলবো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন "আমাদের দাবায়া রাখতে পারবা না" এখন কেউ বাংলাদেশকে দাবায়া রাখতে পারেনি, আর পারবেও না।
শেখ হাসিনা বলেন, যেকোন ত্যাগের বিনিময়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করবোই। আজ আমরা সেই পথেই যাচ্ছি। জনগণ আমাদের ভোট দিয়ে বারবার সেই কাজ করতে আরও উৎসাহী করছে।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের খুনিরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বঙ্গবন্ধুর রক্তকে নিঃশেষ করে দিবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে দিবে। সে লক্ষ্যে তারা ঢাকায় আমাদের পরিবারের ৩টি বাসায় হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। কিন্তু তারা তা পারেনি। বাংলাদেশের মানুষ বার বার আওয়ামী লীগ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করছে। স্বাধানতা সংগ্রামের চেতনাকে উজ্জীবিত করছে।
তিনি বিকাল ৪টা ৩৮ মিনিটে বক্তব্য শুরু করে ৪টা ৪৭ মিনিটে শেষ করেন।