বিজিবি'র কাছে দুঃখ প্রকাশ করে অস্ত্র-ওয়াকিটকি ফিরে পেল বিএসএফ

বিজিবির কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফেলে যাওয়া অস্ত্র ও ওয়াকিটকি ফেরত নিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এসময় আগামী দিনে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনা পুনরাবৃত্তি না করার প্রতিশ্রুতি দেন বিএসএফ।

গতকাল শুক্রবার রাতে পাটগ্রামের বুড়িমারী ইউনিয়নের মুংলিবাড়ী সীমান্তে ৮৪১ নম্বর মেইন পিলারের ৬ নম্বর সাব-পিলারের কাছাকাছি এলাকায় বিএসএফের অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শনিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরের জিরোলাইনে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ের পতাকা বৈঠক করে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীবাহিনী।

পতাকা বৈঠকে বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৬১ বিজিবি ব্যালিয়নের পরিচালক লেফটেনেন্ট কর্নেল শরিফুল ইসলাম শরীফ। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির কোচবিহার ১৪৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার বানাম্বার শাউ।

পতাকা বৈঠকে বিএসএফ দাবি করেছে, শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে পাটগ্রামের মুংলিবাড়ি সীমান্তের মেইন ৮৪১ পিলারের সাব ৬ নম্বর পিলার এলাকায় চোরাকারবারীদের ধাওয়া করতে দুই বিএসএফ সদস্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে।

এ ব্যাপারে লেফটেনেন্ট কর্নেল শরিফুল ইসলাম শরীফ বলেন, চলমান সংকট নিরসনে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ব্যাটালিয়ন পর্যয়ে পতাকা বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। যার প্রেক্ষিতে শনিবার দুপুরে বুড়িমারী স্থলবন্দরের জিরো লাইনে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে পতাকা বৈঠকে বিজিবি'র কাছে দুঃখ প্রকাশ করে আগামী দিনে পুনরাবৃত্তি না করার প্রতিশ্রুতি দেন বিএসএফ। পরে বিএসএফ সদস্যের ফেলে যাওয়া অস্ত্র ও ওয়াকিটকি হস্তান্তর করে বিজিবি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত ৮টার দিকে বাংলাদেশি কয়েকজন যুবক মুংলিবাড়ী সীমান্ত এলাকায় ঘুরাঘুরি করতে থাকে। এ সময় কোচবিহার-১৪৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চ্যাংরাবান্ধা কোম্পানি সদরে টহলরত দুজন বিএসএফ সদস্য তাদের ধাওয়া করে।

এক পর্যায়ে বিএসএফ’র ওই দুই সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং স্থানীয় মুংলিবাড়ী এলাকার বাসিন্দা আজিমুদ্দিন ওরফে ভুট্টুর (৪৫) বাড়িতে হামলা করে। পরে স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দিলে বিএসএফ সদস্যরা পালিয়ে যায়। এ সময় বিএসএফের এক সদস্য একটি শর্টগান ফেলে যায়।