Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সালথা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় আব্দুর রহমান

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি 
প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারী ২০১৯, ০২:৪৫ PM
আপডেট: ১৯ জানুয়ারী ২০১৯, ০২:৪৫ PM

bdmorning Image Preview


দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক মেধাবী ও ছাত্রলীগ নেতা ও ইতালী আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলার গট্রি ইউনিয়নের কৃতি সন্তান আব্দুর রহমান। এলাকায় ও দেশ বিদেশে যুব সমাজের নিকট অনেক জনপ্রিয়। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে বড় হওয়া, মাঠের রাজনীতির অভিজ্ঞতা, আচরণগত ভদ্রতা ও নম্রতা, শিক্ষা অনুরাগী, উপজেলা পরিষদ পরিচালনা ও দলীয় কর্মকাণ্ডসমূহ বিবেচনায় তিনি শক্ত প্রতিদ্বন্দী।

তিনি ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের সালথা উপজেলার জয়ঝাপ গ্রামের হাজী আব্দুল হামিদ ও ছাহেরা বেগম দম্পত্তির সাত সন্তানের মধ্যে চতুর্থ আব্দুর রহমান। জন্ম ১৯৭৬ সালে। স্থানীয় জয়ঝাপ স্কুলে পড়ালেখা থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগের মাধ্যমে তাঁর রাজনীতিতে হাতে খড়ি।

এব্যাপারে জয়ঝাপ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিরাজ আলী বলেন, আব্দুর রহমান অনেক মেধাবী ছাত্র ছিলেন।  সে স্কুলজীবন থেকেই ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। সে এলাকায় অনেক ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত।

জয়ঝাপ গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তিত্ব এবং গ্রাম্য দলীয় প্রধান মানিক মাতুব্বর বলেন, রহমান আমাদের গ্রামের সন্তান। সে অনেক ভালো ছেলে। সে ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। সে অনেক মেধাবী ও নম্র-ভদ্র। ও যদি চেয়ারম্যান হয় সেটা আমাদের গ্রামের গর্ব।

পরে মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হোন ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে। সেখানে সে (১৯৯৩-৯৫) বাণিজ্য বিভাগ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। একই কলেজ থেকে সে কৃতিত্বের সাথে স্নাতক সম্পন্ন করেন।  

সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোশার্রফ আলী বলেন, আব্দুর রহমান অনেক ভালো ছেলে বলে জানি। সে আমার অনেক স্নেহের ছাত্র।

এরপর সে বিদেশে পাড়ি জমান। ইতালীতে সে প্রথমে ইতালী আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং পরে ইতালী শাখা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হোন। অদ্যবদি সে একই দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।

ইতালী আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী ইদ্রিস ফরাজী বলেন, আব্দুর রহমান আওয়ামী লীগের এক নিবেদিত প্রাণ। সে দলের জন্য সকল স্বার্থের ঊর্ধ্বে এসে অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা স্বীকার করেন।

সালথা উপজেলার একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা হলে তারা জানায়, কর্মীদের বিপদাপদে পাঁশে থাকা, আর্থিক ও সামগ্রিক সহযোগিতা করার কারণে তিনি যুব সমাজের কাছে অধিক প্রিয়। এবার আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান তারা।

এব্যাপারে আব্দুর রহমান জানায়, উপজেলা চেয়ারম্যান বড় কথা নয়। আমি দলকে ভালোবাসি, আমি ভালোবাসি এ এলাকার অবহেলিত মানুষকে। যদি আমার নেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী (স্থানীয় এমপি) ও তাঁর কৃতি সন্তান লাবু মামা (সাজেদা চৌধুরীর ছোট ছেলে) এবং সালথার জনগণ আমাকে যোগ্য মনে করেন তবে আমার কোনো আপত্তি নেই।

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সম্ভাব্য প্রার্থীরাও দলীয় নেতাদের সহযোগিতা পেতে বিরামহীন তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন। এরই মধ্যে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যান সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আব্দুর রহমানের নাম জনগণের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে।

Bootstrap Image Preview