Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

জীবননগরে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বন্ধ হল স্কুল শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ 

মোঃ মিঠুন মাহমুদ, জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারী ২০১৯, ০২:১৬ PM
আপডেট: ১৯ জানুয়ারী ২০১৯, ০২:১৯ PM

bdmorning Image Preview


চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলামের হস্তক্ষেপে বন্ধ হল ৬ষ্ঠ শ্রেনীর স্কুল শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ।

আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় জীবননগর পৌর শহরের ৬নং ওর্য়াড হাসপাতাল পাড়ায় এ বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়।  

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় জীবননগর পৌর শহরের ৬নং ওর্য়াড হাসপাতাল পাড়ার আবুল হোসেনের মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর স্কুল ছাত্রী লাবনী খাতুনের (১৩) সঙ্গে একই পাড়ার রবিউল হোসেনের ছেলে বহু বিবাহের অধিকারী সাঈদ হোসেনের (২৭) সাথে ঘরোয়া পরিবেশে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র তৈরি করে গোপনে বিবাহ করছে এমন সংবাদ পেয়ে জীবননগর থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ঘটনা স্থানে ছুটে যান, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলাম এবং সেচ্ছাসেবী সংগঠন বন্ধু রক্তদান কেন্দ্রের সদস্যরা।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেয়ের পরিবারের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে কোন জরিমানা না করে বিয়ে বন্ধ করে দেন এবং ভবিষ্যতে ১৮ বছরের নিচে যাতে মেয়েটিকে বিবাহ না দেওয়া হয় সে বিষয়ে মেয়ে ও ছেলের পরিবারকে নির্দেশ প্রদান করেন। পাশাপাশি মেয়েটিকে স্কুলে ভর্তি করার পরামর্শদেন তা ছাড়া মেয়েটির পারিবারিক অবস্থা অস্বচ্ছল হওয়ায় মেয়েটির লেখাপড়ার যাবতীয় দায়ভার গ্রহণ করেন।

তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার বেশ কিছু কাজী আছে যারা অতিরিক্ত অর্থের লোভে বিভিন্ন দোকান থেকে ভুয়া জন্ম সনদ তৈরি করে বাল্যবিবাহ দিয়ে থাকে। তার মধ্যে খয়েরহুদা গ্রামের কাজি মাহবুবুল আলম শীর্ষে।

নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক খয়েরহুদা গ্রামের বাল্য বিবাহের স্বীকার এক স্কুল ছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, গত দুই বছর আগে আমার পরিবারের লোকজন আমাকে জোর করে বিয়ে দেয়। আমি তখন ৮ম শ্রেনীতে লেখাপড়া করি। আমার বিয়ের বয়স না হলেও কাজী মাহবুবুল আলম প্রশাসনিক ভাবে যাতে কোন সমস্যা না করতে পারে সে জন্য আমার বাবার কাছ থেকে অতিরিক্ত ৫হাজার টাকা বেশি নিয়ে বাজার থেকে একটি ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র তৈরি করে আমাকে বিয়ে দেয়।

তথ্যনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, ইতোমধ্যেই কাজী মাহবুবুল আলমের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে জীবননগর উপজেলা সহ বিভিন্ন অঞ্জল থেকে খয়েরহুদা গ্রামে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বাল্য বিবাহ পড়িয়ে থাকেন তিনি। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকা সত্বেও প্রশাসনিক ভাবে নেওয়া হচ্ছে কোন পদক্ষেপ যার ফলে প্রতিনিয়ত  ঘটে যাচ্ছে স্কুল শিক্ষার্থী লাবনীর মত মেয়েদের বাল্যবিবাহ। তাই সুধী ও সচেতন মহলের দাবি সমাজ থেকে বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে হলে ভুয়া কাজিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনে ব্যবস্থা নিতে হবে। 

Bootstrap Image Preview