Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মার্কিন শাটডাউন: সরকারি কর্মীদের প্রতি কংগ্রেস সদস্যদের সংহতি প্রকাশ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারী ২০১৯, ১১:২৬ AM
আপডেট: ১৯ জানুয়ারী ২০১৯, ১১:৩৯ AM

bdmorning Image Preview


যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘতে পরিণত হয়েছে মার্কিন সরকারের আংশিক শাটডাউন। শাটডাউনের ফলে কয়েক লাখ সরকারি কর্মী বেতন পাচ্ছেন না। ২৭ দিন ধরে বেতন ছাড়াই কাজ করছেন অনেকেই। বন্ধ হয়ে আছে বেশকিছু সরকারি কার্যালয়ও। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সদস্যরা।

শুধু তাই নয়, সেইসঙ্গে বেতনও নেননি ১০২ জন কংগ্রেস সদস্য। সামাজিক মাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমকে দেয়া বিবৃতিতে এখন পর্যন্ত ১০২ জন কংগ্রেস সদস্য বেতন না নেয়ার কথা জানিয়েছেন বলে শুক্রবার দাবি করেছে সিএনএন।

এর মধ্যে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট উভয় দলেরই ২০ জন সিনেটর ও ৮২ জন প্রতিনিধি রয়েছেন। এদের মধ্যে ২৪ জন প্রতিনিধি ও দু’জন সিনেটর নবনির্বাচিত ও চলতি বছরেই শপথ নিয়েছেন।

বেশিরভাগই প্রতিনিধি পরিষদের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফিল কিকো ও সিনেট ফিন্যান্সিয়াল কর্মকর্তারা তাদের বেতন স্থগিত রাখার কথা বলেছেন। আর কয়েকজন জানিয়েছেন, তারা এটি দাতব্য কাজে ব্যয় করবেন। ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের ঘোষণা দেয়া ডেমোক্রেট সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন বলেন, তিনি তার বেতন শরণার্থীদের সহায়তা করা সংগঠন এইচআইএএসকে দান করবেন।

কংগ্রেসের আরও কয়েকজন সদস্য প্রস্তাব দিয়েছেন যেন এমন আইন করা হয় যাতে সিনেটর শাটডাউনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে। ২০১৭ সালে ডেমোক্রেট প্রতিনিধি কার্ট স্রডার একটি বিল প্রস্তাব করেছিলেন যেটায় শাটডাউনে বেতন পাবেন না সদস্যরা।

আর সাউথ ক্যারোলিনার রালফ নরমানও এমন একটি সাংবিধানিক সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। রিপাবলিকান পরিষদের সাতজন বেতন নেয়া থেকে বিরত ছিলেন।

পেনিসেলভেনিয়ার প্রতিনিধি ব্রায়ান ফিতজপ্যাট্রিক সবাইকে তার সঙ্গে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সবাইকে এমন কাজ করা উচিত। যদি কংগ্রেসে থাকেন তাহলে বেতন স্থগিত করবেন না, বাতিল করুন।

তাহলেই শুধু সরকারি কর্মীদের কষ্ট বুঝতে পারবেন আপনারা।’ মার্কিন অর্থবছর শুরু হয় ১ অক্টোবর। তার আগেই বাজেট অনুমোদন করিয়ে নেয়ার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকলেও সমঝোতার অভাবে কখনও কখনও মার্কিন কংগ্রেস তা পাস করাতে ব্যর্থ হয়।

এমন অবস্থায় অস্থায়ী বাজেট বরাদ্দের মধ্য দিয়ে সরকার পরিচালনার তহবিল জোগান দেয়া হয়। অস্থায়ী এ বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে দুই কক্ষের অনুমোদনসহ প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের তিন-চতুর্থাংশ কার্যক্রম পরিচালনার অর্থ বরাদ্দ করা আছে। বাকি এক-চতুর্থাংশের বাজেট ফুরিয়ে যাওয়ায় অচলাবস্থা ঠেকাতে গত ২১ ডিসেম্বর নতুন অস্থায়ী বাজেট বরাদ্দ ছিল অপরিহার্য।

Bootstrap Image Preview