ফারজানা ব্রাউনিয়া। নামটি পড়লেই উঠে আসে উপস্থাপনার কথা! সংবাদ পাঠিকা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও উপস্থাপনার মধ্য দিয়েই তারকা জগতে খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি। যার শুরু বাংলাদেশ টেলিভিশন দিয়ে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এ তারকার।
স্বপ্নের পেছনে ছুটে সেটি পূরণও করেছেন। বলা চলে, স্বপ্নকেও ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। উপস্থাপনার বাইরেও নির্মাণ করেছেন বেশ কিছু অনুষ্ঠান।
বেসরকারি টিভি চ্যানেল ‘চ্যানেল আই’তে কাজ করেছেন দীর্ঘ সময়। এর মধ্যে গেম শো লেটস মুভ, রাজনীতিভিক্তিক শো হাঁড়ি কড়াই রান্নার লড়াই, চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ ইত্যাদি অনুষ্ঠানে।
এ ছাড়া ফারজানা নানা ধরনের সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। স্বর্ণকিশোরী নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে গত বছর ১১ অক্টোবর আকাশে উড়তে গিয়ে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেডের একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। এ দূর্ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফরিদুর রেজা সাগর, নজরুল সংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরা ও ফারজানা ব্রাউনিয়া। আর এ ঘটনার পর অনেকটা আড়ালে চলে যায় ফারজানা ব্রাউনিয়া।
সেই বছরেরই শেষদিকে ফারজানা বিয়ে করেন আলোচিত সেনা কর্মকর্তা লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে। ফারজানার এটি তৃতীয় বিয়ে। প্রথম স্বামীর ঘরে এক ছেলে এবং দ্বিতীয় স্বামীর ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে তার।
বিয়ের পর থেকেই বদলে গেছেন ফারজানা ব্রাউনিয়া। বিয়ের পর ওমরাহ করে এসেছেন স্বামীর সাথে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেসব ছবিও শেয়ার করেছেন। ইসলামের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানে ভ্রমণের ছবি ভক্ত-বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। তারকাখ্যাতি পাওয়া মানুষের এমন বদলে যাওয়াকে দর্শকেরা মিশ্রভাবে গ্রহণ করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তার এখন মিডিয়ায় কাজ না করার সম্ভাবনাই বেশি। স্বামী ও সন্তানের পাশাপাশি ধর্মের প্রতি বেশি মনোযোগি হবেন।
গত সোমবার ছিল ফারজানা ব্রাউনিয়ার ছেলে কাইসানের জন্মদিন। জন্মদিন উদযাপনের কিছু ছবিও দিয়েছেন ফেসবুকে। সেখানেও দেখা গেছে হিজাব পরিহীতা ফারজানা ব্রাউনিয়াকে।
সেদিন এক পোস্টে ফারজানা লেখেন, প্রিয় আব্বুজী, কাইসান। আজ আমার প্রথম মা হবার দিন। জীবনের শ্রেষ্ঠ দিনও বলতে পারিশ। অনেক ছোট ছোট শার্ট, জীবনের প্রথমবারের মতো, বানিয়েছি তোর জন্য। ২০০২ সালের ১৪ জানুয়ারি, দুপুর ৩টা বেজে ২০ মিনিটে প্রথম চোখের দেখা হলেও, তার বহু আগে আমার ঠিক জন্মের পর থেকেই ছিলি আমার মনে। তুই আমার সূর্য, আমার চাঁদ, আমার সাত রাজার ধন। দীর্ঘ ১৬ বছর পেরিয়ে তুই এখন ১৭। তোর পুরো জীবনে একটি দিনও আমাকে একটুও কষ্ট দিসনি। অনেক ভালোবাসার স্মৃতি। আব্বুজী আমার জীবন সাথী। তুই হাতটা ধরে ছিলি বলেই জীবনের এতো যুদ্ধ জয়। মায়ের দোয়া সব সময় তোর সাথে। অনেক বড় মানুষ হবি তুই। তুই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ছেলে। এবার শ্রেষ্ঠ মানুষ হবার পালা। অনেক ভালোবাসি অব্বুজী। -মা।’