বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের কোনা পাড়া এলাকায় তুমব্রু খালের উপর পাকা পিলার নির্মাণ করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। স্থানীয়রা ও জিরো লাইনে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের ধারণা, তুমব্রু খালের উপর সেতু নির্মাণ করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এতে আতঙ্কে রয়েছে জিরো লাইনের রোহিঙ্গা ও স্থানীয়রা।
অন্যদিকে, এই খালের উপর সেতু নির্মাণ হলে বর্ষা মৌসুমে জিরো পয়েন্টে বসবাসকারী রোহিঙ্গা বসতি ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কৃষি জমি পানিতে তলিয়ে যাবে বলেও ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
জিরো পয়েন্টে বসবাসকারী রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ জানান, তুমব্রু সীমান্তের জিরো পয়েন্টের কোনারপাড়া এলাকার খালটি তুমব্রু খাল হিসেবে পরিচিত। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে কাঁটাতারের বেড়া ঘেঁষে ওই খালে একটি সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। গত কয়েক দিন থেকে এই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি রফিক আহমদ জানান, প্রকাশ্যে তুমব্রু খালের উপর সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। খালের ওপর সেতু হলে স্থানীয়দের ব্যাপক ক্ষতি হবে। বর্ষা মৌসুমে খালের পানিতে প্রতিবন্ধকতা হলে এপারের কৃষি জমি ও পুরো এলাকা পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে যাবে। স্থানীয়রা এ নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
এ দিকে এই ঘটনার পর নো-ম্যান্স ল্যান্ড এলাকা পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির কর্মকর্তারা। পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বিজিবির কক্সবাজার সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এস এম বায়েজিদ খান জানান, তুমরু খালের ওপর মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ কাঁটাতারের বেড়া সংস্কার করছে। খালের ওপর আগে কাঠের খুঁটি ছিল, সেটি পানিতে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সেখানে আরসিসি পাকা পিলার দেয়া হচ্ছে। এটি কোনো সেতু বা বাঁধ নয়। তবে কেন তারা এটি নির্মাণ করছে তা জানতে চেয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপিকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে চিঠির জবাব আসলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে বর্তমানে সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।