Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভারতের বহু স্টেশনে নারীদের শৌচাগার নেই

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারী ২০১৯, ০৭:১৮ PM
আপডেট: ১৮ জানুয়ারী ২০১৯, ০৭:১৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


দীর্ঘ সময় ধরে ট্রেন আটকে আছে স্টেশনে। এক কলেজ ছাত্রী শৌচাগারের খোঁজ করলেন। কিন্তু স্টেশনের ১ ও ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে একটিও নারীদের শৌচাগার নেই।

দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে শিয়ালদহ থেকে ডায়মন্ড হারবার স্টেশন পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার দূরত্ব। সময় লাগে প্রায় পৌনে ২ ঘণ্টা। ডায়মন্ড হারবার থেকে বারুইপুর প্রায় ৩৫ কিলোমিটার পথে ১৫টি স্টেশন।

ওই স্টেশনগুলোর মধ্যে ডায়মন্ড হারবার, মগরাহাট ও ধামুয়া এই তিনটি স্টেশনে নারীদের শৌচাগার রয়েছে। কিন্তু তা খুব একটা ভালো নয়।

বাকি স্টেশনগুলোতে নারীদের কোনো শৌচাগার নেই। পুরুষদের জন্য গুটি কয়েক স্টেশনে শৌচাগার থাকলেও তা ব্যবহারের অযোগ্য। কোথাও দরজা ভাঙা, কোথাও পানির অভাব। শৌচাগারের ধারেকাছে দুর্গন্ধে টেকা দায়।

গুরুদাসনগর স্টেশনের ১ ও ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মেও কোনো নারী শৌচাগার নেই। বাসুলডাঙা, নেতড়া, দেউলা স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে রয়েছে একটি করে ছোট পুরুষ শৌচাগার। পরের স্টেশন সংগ্রামপুর। ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে কোনো শৌচাগার নেই। ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে একটি শৌচাগার আছে। কিন্তু দুর্গন্ধের জন্য সেখানে কেউ যেতে পারেন না।

মন্দিরবাজারের ঘাটেশ্বরা হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষিকা মৌমিতা দাস (মণ্ডল) বলেন, আমি নিউ গড়িয়া স্টেশন থেকে লক্ষ্মীকান্তপুর স্টেশন পর্যন্ত যাতায়াত করি। দেড় ঘণ্টা সময় লাগে। কিন্তু শহরের মধ্যে নিউ গড়িয়া স্টেশনে শৌচাগার থাকলেও তার কোনো দরজা নেই। বিশ্রী পরিস্থিতি।

কলেজ ছাত্রী তিয়াসা নস্করের কথায়, নিত্য কলেজ যাওয়ার পথে দেখি কোনো স্টেশনে নারীদের জন্য আলাদা ভালো শৌচাগার নেই। খুবই সমস্যার।

ম্যানেজমেন্টের ছাত্রী স্নেহা বসু বলেন, আমাকে ডায়মন্ড হারবার থেকে বালিগঞ্জ স্টেশন পর্যন্ত যেতে হয়। কিন্তু স্টেশনগুলোতে নারীদের শৌচাগারের ব্যবস্থা তেমন ভাবে নেই। আর যেখানে আছে, সেই শৌচাগারগুলোও নোংরা। স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের দরকার হলে ভিতরে ঢোকা মুশকিল।

রেল দপ্তরের দাবি, বেশ কিছু স্টেশনে শৌচাগার রয়েছে। সেখানে নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়। তবে স্টেশনের শৌচাগারগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে যাত্রীদেরও সচেতন হতে হবে।

Bootstrap Image Preview