Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

বান্দরবানে সীমের বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত চাষীরা

সোহেল কান্তি নাথ, বান্দরবান প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারী ২০১৯, ০৪:১৪ PM
আপডেট: ১৮ জানুয়ারী ২০১৯, ০৪:১৮ PM

bdmorning Image Preview


বান্দরবানে সীমের বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত চাষীরা। এদিকে এবছর ফলন ভাল হলেও ন্যায্য দাম না পাওয়ার কারণে লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। 

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে ২ যুগেরও বেশী সময় ধরে নদীর চরাঞ্চলসহ উর্বর জমিতে তামাক চাষ হয়ে আসছে। ইদানিং তামাক চাষে লোকশান ও ক্ষতিকারক জেনে এবং কৃষি বিভাগের নিরুৎসাহিতকরণ প্রচারণার ফলে কৃষকরা মৌসুমি সবজি চাষ করতেছে।

সীমসহ মৌসুমী ফসল চাষ লাভজনক হওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে নদীর চরাঞ্চলসহ উর্বর জমিতে সীম চাষ করে আসছে কৃষকরা। সীম চাষে লাভবান হওয়ায় অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপক হারে সীম চাষ হয়েছে। বান্দরবান সদর উপজেলায় চলতি বছর ১৯২ হেক্টর জমিতে সীমের আবাদ হয়েছে। গত বছর হেক্টর প্রতি ১৮ মেট্রিকটন ফলন হলেও পোকা মাকড়ের আক্রমন কম হওয়ায় এ বছর হেক্টর প্রতি ২০ মেট্রিকটন ফলন হবে বলে আশাবাদ কৃষি বিভাগের। তবে ফলন ভাল হলেও ন্যায্য দাম না পাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।

সুয়ালক ইউনিয়নের সীম চাষী কাঞ্চন লতা জানান, এবছর সীমের ভাল ফলন হয়েছে। কিন্তু ন্যায্য মূল্য না পাওয়াতে সীম চাষে খরচের টাকা উঠানো কষ্ট হয়ে যাবে। কারণ ব্যবসায়ীরা সীমের দাম দিচ্ছেন খুবই কম, কেজি প্রতি মাত্র ১০ টাকা। তাই ফলন ভাল হলেও আমাদেরকে লোকসান গুনতে হচ্ছে। অপর চাষী সিদ্ধার্থ তঞ্চঙ্গ্যা জানান, সীমের বাজার দর কম থাকায় এবং চাষাবাদে খরচ বেশী হওয়ায় সীম চাষ করে এ বছর লাভবান হতে পারছি না।

অপরদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে সীম প্রতি কেজি ১০ টাকা দরে কিনে পরিবহন করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে যান এবং কেজি ২০ টাকার কম দামে বিক্রয় করেন। সীম পরিবহন করতে গিয়ে তাদের কয়েক দফায় ট্যাক্স ও চাঁদা দিতে হয়। ফলে মাঠ পর্যায়ে কুষকদের কাছ থেকে কম দামে সীম সংগ্রহ করতে হয়।

তবে কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানান, সীমের ফুল আসার সময় বৃষ্টি হওয়ার কারণে ফুল ঝরে যাওয়ায় সীমের ফলন দেরীতে আসে। ফলে বাজারে সীমের দরে ধ্বস নামে। বাজারদর না থাকায় কৃষকরা আশানুরুপ দাম পাচ্ছে না। এদিকে চাষাবাদে লেবারের মজুরী বেশী হওয়ার কারণে পাহাড়ী জনগোষ্টির অধিকাংশ স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে সীম তোলার কাজে  পরিবারকে সগযোগিতা করতে।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, এ বছর কৃষকরা দেরিতে সীম চাষ করেছে। যার ফলে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কৃষকরা। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর সীমের ফলন ভাল হয়েছে। 

Bootstrap Image Preview