Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

শীতকালেই কেন ব্যাচেলররা বেশি বিয়ের করে?

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারী ২০১৯, ০৭:২৪ PM
আপডেট: ১৭ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:২৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


বিয়ে একটি দিল্লিকা লাড্ডু! ব্যাচেলরদের সেই লাড্ডু খাওয়া উসকে দিতে এসেছে শীতকাল। অন্যদিকে শীত আর বিয়ের সঙ্গে মুধুর একটা সম্পর্ক জড়িয়ে আছে। কখনও ভেবে দেখেছেন ব্যাচেলররা শীতে বিয়ে করে কেন?

বিয়ে মানুষের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিয়ের মাধ্যেমেই একজন নর এবং একজন নারী পূর্ণতা লাভ করে। বিয়ে নারীদের জন্য একটি স্বপ্ন আর পুরুষদের জন্য একটি দায়িত্ব। বিয়ে হলো সেই রীতিনীতি বা প্রথা বা চুক্তি, যার মধ্য দিয়ে সমাজ একজন পুরুষকে একজন নারীর সাথে অতি ঘনিষ্টভাবে বসবাস, সুখ-দু:খ ও হাসি-কান্না, দৈহিক চাহিদা ভাগাভাগি করে নিতে দেয়। ধুমধাম করে বিয়ে করা মানেই তো অনেক টাকার ধাক্কা। কিন্তু আত্মীয়-স্বজনের মুখ রাঙাতে ধুমধাম করে বিয়ে করতে হয়। শীত আর বিয়ের সঙ্গে মুধুর একটা সম্পর্ক জড়িয়ে আছে। বুদ্ধিমানরা শীতে বিয়ে করে কেন?

অতিরিক্ত বাজার করতে হবে না : শীত এলেই অনেকের ঠোঁট ফাটার সমস্যা হয়, আবার কারও বাতের ব্যারাম চেইত্তা যায়, অনেকের প্রেসার দিনে একশোবার আপ-ডাউন করে। আর সেই কারণে অনেক মানুষই বেশি খেতে পারে না। আর বেশি খেতে না পাড়া মানে আপনার বাড়তি বাজারের টাকাটা বেচে গেল।

সাজগোজের ব্যাপারটাও ইমপর্ট্যান্ট: এ দেশের যা আবহাওয়া, শীত বাদে বাকি সময়টায় মেকআপ লাগিয়ে সাজলে মুশকিল। ঘেমেনেয়ে গলে গলে পড়ে সব সাজ। তাই কনের সাজ হোক বা বরের, শীতে যেমন খুশি সাজো, কুছ পরোয়া নেহি। বর-কনে ছাড়া বাকিরাও বিয়েবাড়ির সাজের আনন্দ নিতে পারে চুটিয়ে।

কত ফুল, কত ডেকরেশন: কৃত্রিম ফুলের প্রয়োজনও হয় না শীতকালে। ডালিম, রজনীগন্ধা, অর্কিড, গাঁদা, গোলাপ, জুঁই - সব টাটকা টাটকা পাওয়া যায় হাফ দামে। এবেলা সাজালে ওবেলায় পচে যায় না।

যত খুশি খাও: এমনিতেই শীতে হজমশক্তির বৃদ্ধি ঘটে। তাই ফিশফ্রাই, রোগানজোশ, বিরিয়ানি, পোলাও সবই এক থাকায় গপগপিয়ে সাবাড় করা যায় বিনা দ্বিধায়। তা ছাড়া, শীতকালীন কিছু বিশেষ খাবার ওঠে, যেমন গুড়, কমলা লেবু ইত্যাদি... সে সব খাওয়াদাওয়াকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেয়।  

হানিমুন: বিয়ের পর খুব বেড়ানো যায়। রোদের তাপ নেই। ক্লান্তি নেই। বরের হাত ধরে নতুনের স্বাদটা ভালোই উপভোগ করা যায় শীতে। হানিমুনও জমে ক্ষীর!

মৌসুমী ফল কেনার টেনশন নেই : গরম কালের মতো শীতে আম, লিচুর অতো বাম্পার ফলন নেই, তাই ফল কেনার ঝামেলাও নেই। একান্ত দরকার হলে ফল নয় বরং বাম্পার সবজি ফুলকপি নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে চলে যান। এত বড় সাইজের ফুল পেয়ে কার না মন ভালো হয়? পছন্দ না হলেও সমস্যা নেই রান্না করে খেয়ে ফেলা যাবে।

কারেন্ট বিল বেঁচে যায় : শীতকালে এমনিতেই ফ্যান চলে না, তার ওপর নতুন বউ ঘরে থাকলে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর একটা তাড়া থাকে বলে গুজব আছে। তাই তাড়াতাড়ি ঘুমানো মানে, সব লাইট-টিভি বন্ধ। আর সেই কারণে আপনার বিলটাও কম আসবে। বিশ্বাস না হলে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।

মশারি টানানোর ক্যাচাল নেই : নতুন বউয়ের দিকে তাকালে এমনিতেই মাথার নেটওয়ার্ক হারিয়ে যায়। যেহেতু ঋতুটা শীতের তাই আপনার নেটওয়ার্ক হারাক আর তার-খাম্বা হারাক। আপনি যত অলসই হোন না কেন, মশারি টানানো নিয়ে আপনার কোনো চিন্তা নেই। কারণ কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমালে মশা কামড়ানোর আর কোনো চান্স নেই।

প্রাইভেট কার খরচ বাঁচে : বিয়েবাড়িতে যেতে হলে পাবলিক একটু বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। গরম হলে তো একজনের সঙ্গে আরেকজনের গা লাগতেই লাফিয়ে উঠে। তাই গাড়ি নিতে হয় বেশি। বাট শীতকালে বিয়ে করলে আপনি, সব পাবলিকরে গাদাগাদি করে এক গাড়িতে ঢুকিয়ে দিতে পারবেন। এর জন্য বেশি গাড়ি ভাড়া করার দরকার নেই।

Bootstrap Image Preview