Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভিসা ছাড়াই কাতারে প্রবেশ করতে পারবে তুর্কি সেনারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারী ২০১৯, ১১:৫৭ AM
আপডেট: ১৭ জানুয়ারী ২০১৯, ১১:৫৭ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


এবার কাতারে অবস্থানরত তুর্কি সৈন্যদের বিনা ভিসায় কাতারে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে কাতার। দুই বছর আগে তুরস্ক-কাতার প্রতিরক্ষা চুক্তির অধীনে এ ঘোষণা দেয় কাতার। এছাড়াও তুর্কি সেনাদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ দিয়েছেন উপসাগরীয় এ দেশটি।

তুরস্কের সঙ্গে কাতারের পারস্পরিক সম্পর্ক খুবই ভালো। সেই ধারাবাহিকতায় তুর্কি সেনারা এবার আরও কিছু সুবিধা পাচ্ছেন।

সৌদি সংবাদ সংস্থা আল আরাবিয়া তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, ২০১৭ সালের প্রতিরক্ষা চুক্তিতে তুর্কি সৈন্যদের বিভিন্ন বিশেষ সুবিধা দিয়েছে কাতার।

কাতার সেনা ছাউনিতে অবস্থানরত তুর্কি সেনারা এখন থেকে ভিসা ছাড়াই কাতারে প্রবেশ করতে পারবে। কাতারে অবস্থানকালে তারা শুধু তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র বহন করবে। এছাড়া অন্য কোনো কাগজ বা অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না।

তুরস্ক-কাতার প্রতিরক্ষা চুক্তির অনেক ধারাই বিস্ময়কর। তাই চুক্তিটির অনেক কথা গোপন রাখা হয়েছে।

তুর্কি সেনারা কাতারে অনেকটা স্বাধীন চলাফেরা করতে পারে। তাদের জন্য ধরাবাধা তেমন নিয়ম নেই।

কাতারে সেনা ছাউনি স্থাপনসহ এসব বিষয়ে কাতার তুরস্ককে অনেক সুবিধা দিয়েছে। দোহায় তুর্কি সেনা কতজন থাকবে, এটিও নির্ধারিত নয়। তুর্কি কর্তৃপক্ষ নিজেদের মতোই সেনা মোতায়েন করে। এসব ক্ষেত্রে কাতার কোনো হস্তক্ষেপ করে না।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৫ জুন সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, বাহরাইন, কুয়েত ও মিসরসহ কয়েকটি দেশ। এই সংকট শুরুর দুইদিন পর তুরস্কের পার্লামেন্ট কাতারে তাদের সামরিক ঘাঁটিতে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের সামরিক সম্পর্ক আরও জোরদার হয়।

অবরোধ জারিকৃত দেশগুলোর ১৩ দাবির মধ্যে একটি ছিল কাতার থেকে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি প্রত্যাহার করা। তবে সেই পথে হাঁটেনি কাতার।

২০১৫ সালের ১৮ জুন তারিক ইবন জিয়াদ সামরিক ঘাঁটিতে প্রথমবারের মতো অবস্থান নেয় তুর্কি সেনারা। এতে করে কাতারের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। সন্ত্রাস দমন করে এই অঞ্চলে শান্তিও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আশা ব্যক্ত করেন উভয় দেশের নেতারা। চলতি বছর জানুয়ারিতে কাতারে নিযুক্ত তুর্কি রাষ্ট্রদূত বলেন,ভবিষ্যতে তারা কাতারে বিমান ও নৌবাহিনীও মোতায়েন করবে।

Bootstrap Image Preview