ভোলায় ২ লাখ ৭২ হাজার ৭'শ ৭৫ জন শিশুকে জাতীয় ভিটামিন 'এ' খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬ মাস থেকে ১১ বাস বয়সী ৩০ হাজার ৫'শ ৭৯ জন শিশুকে ১ লাখ ইউনিটের ক্ষমতা সম্পন্ন ১টি নীল রংয়ের ভিটামিন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ২ লাখ ক্ষমতা সম্পন্ন ১টি লাল রংয়ের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
বুধবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে ভোলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে জাতীয় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন দ্বিতীয় রাউন্ডের সাংবাদিকদের সাথে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় এ তথ্য জানান ভোলার সিভিল সার্জন ডাঃ রথীন্দ্রনাথ মজুমদার।
সিভিল সার্জনের তথ্য মতে, ভোলা সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ৩'শ ২৭টি কেন্দ্রে ৬'শ ৮৬ কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক, দৌলতখান উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ২'শ ২৯টি কেন্দ্রে ৪'শ ৮৬ কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক, বোরহাউদ্দিন উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ২'শ ২৯টি কেন্দ্রে ৪'শ ৯৩ জন কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক, লালমোহন উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ২'শ ২৯টি কেন্দ্রে ৫'শ ১২ জন কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক, তজুমদ্দিন উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ১'শ ২৯টি কেন্দ্রে ২'শ ৮৪ জন কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক, চরফ্যাশন উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নে ৪'শ ৭৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ২০ জন কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক এবং মনপুরা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ৭৯টি কেন্দ্রে ১'শ ৬৭ জন কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এছাড়া ভোলা পৌরসভায় ৩০টি কেন্দ্রে ৬২ জন কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক, লালমোহন পৌরসভায় ২৯টি কেন্দ্রে ৬০ জন কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক এবং চরফ্যাশন পৌরসভায় ২৯টি কেন্দ্রে ৫৮ জন কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন কর্মসূচীর দ্বিতীয় রাউন্ড বাস্তবায়ন করা হবে।
ডাঃ রথীন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন, ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেই পুষ্টি সেক্টরের একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচী। শিশুদের অপুষ্টি নিরাময়, অন্ধত্ব প্রতিরোধ, শিশুদের স্বাভাবিক শারীরিক ও মানসিক বিকাশ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন 'এ' একটি অত্যাবশিকীয় অনুপুষ্টি। সুতরাং ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় কর্মসূচী।
আগামী ১৯ জানুয়ারি সারাদেশের ন্যায় ভোলাতেও ১০টি স্থায়ী, ১ হাজার ৬'শ ৮০টি অস্থায়ী এবং ৯৯টি ভ্রাম্যমান ও অতিরিক্ত কেন্দ্রসহ সর্বমোট ১ হাজার ৭'শ ৮৯টি কেন্দ্রের মাধ্যমে সর্বমোট ২ লাখ ৭২ হাজার ৭'শ ৭৫ জন শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এর মধ্যে ৬ মাস থেকে ১১ বাস বয়সী ৩০ হাজার ৫'শ ৭৯ জন শিশুকে ১ লাখ ইউনিটের ক্ষমতা সম্পন্ন ১টি নীল রংয়ের ভিটামিন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়ষী শিশুকে ২ লাখ ক্ষমতা সম্পন্ন ১টি লাল রংয়ের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভিটামিন 'এ' খাওয়ানোর কার্যক্রম চলবে। এরপরও যারা বাদ যাবে তাদের তালিকা করে পরবর্তী দু'একদিনের মধ্যে তাদেরকেও ভিটামিন 'এ' খাওয়ানো হবে।
তিনি আরো বলেন, ভিটামিন 'এ' এর অভাবে অন্ধত্বসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয় শিশুরা। বিশেষ করে ৯০% শিশুর মধ্যে ভিটামিন 'এ' এর অভাব থাকে। আমরা বিভিন্ন ফলমূল, শাক-সবজির মধ্যে ভিটামিন 'এ' পেয়ে থাকি। কিন্তু তাতে স্বাভাবিক যে পরিমানে ভিটামিন 'এ' এর প্রয়োজন তা আমরা যোগান দিতে পারি না। তাই সরকারিভাবে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন 'এ' সারাদেশের শিশুদের জন্য বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। তাই আসুন আমরা সকলে মিলে আগামী ১৯ জানুয়ারী ভিটামিন 'এ' খাওয়ানোর মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধশালী জাতি গঠনে এগিয়ে আসি।
অনুষ্ঠানে ভোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ রায় অপু, কালবেলা প্রতিনিধি মোকাম্মেল হক মিলন, ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি প্রতিনিধি নজরুল হক অনু, দি ইন্টিপেনডেন্ট পত্রিকার প্রতিনিধি কামাল উদ্দিন সুলতান, চ্যানেল আই প্রতিনিধি হারুন-উর-রশিদ, এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার আফজাল হোসেনসহ ভোলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সিভিল সার্জন ডাঃ রথীন্দ্রনাথ মজুমদার তার শুভেচ্ছা বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।