অপহরণ মামলা তুলে না নেওয়ায় বাদীকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে আসামিরা। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার চতুড়া গ্রামে।
ঘটনার দিন মানবপাচার মামলার বাদী আব্দুল আজিজ ফকিরকে কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনায় শৈলকুপা থানায় আহতর স্ত্রী হামিদা বেগম ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করলেও হামলাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৪ সালে আব্দুল আজিজ ও হামিদা বেগমের একমাত্র ছেলে হাবিবুল্লাহকে ভারতে পাচার করে দেয় অবৈধ অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী চতুড়া গ্রামের শহিদুলের ছেলে হারুন ও তার সহযোগিরা।
এ ঘটনায় মামলা করা হলে সিআইডি পুলিশের তদন্তে আসামিরা সনাক্ত হয় ও অপহৃত হাবিবুল্লাহকে ভারত থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় সন্ত্রাসী হারুনসহ তার দলবল। মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। আসামি হারুন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে চতুড়া গ্রামে এসে মামলা তুলে না নিলে হত্যার হুমকী দেয়।
এ ঘটনায় শৈলকুপা থানায় সন্ত্রাসী শহিদুল ও হারুনের বিরুদ্ধে গত বছরের ১ সেপ্টম্বর জিডি করা হয়। যার জিডি নং ২৩। জিডি করার পর হারুন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে আজিজ ফকির ও তার স্ত্রী হামিদা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে থাকে। দীর্ঘদিন পারিয়ে আজিজ ফকির বাড়ি ফিরে আসেন।
গত বছরের ২৭ নভেম্বর আজিজ ফকির মাঠের ধান আনতে গেলে হারুন ও তার ক্যাডার বাহিনী চাইনিজ কুড়াল ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে প্রথমে শৈলকুপা ও পরে ঢাকায় পাঠানো হয়।