Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

টঙ্গি থেকে আনসারুল্লাহ বাংলার কিলার গ্রুপের ১ সদস্য গ্রেফতার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারী ২০১৯, ০৩:২৩ PM
আপডেট: ১৬ জানুয়ারী ২০১৯, ০৩:২৩ PM

bdmorning Image Preview


মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাবেক প্রটোকল কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান এবং তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয় হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণকারী আনসার আল ইসলাম (আনসারুল্লাহ বাংলা) এর সামরিক শাখার( কিলার গ্রুপ ) একজন সদস্যকে টঙ্গী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আজ বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে ব্রিফ করেন ডিএমপি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম(বার)।

ডিএমপি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানে লেক সার্কাস এলাকায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাবেক প্রটোকল কর্মকর্তা জুলহাস মান্নানের বাসায় প্রবেশ করে তাঁকে এবং তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয়কে হত্যা করে।

সে ঘটনায় আনসার আল ইসলাম (আনসারুল্লাহ বাংলা) টিমের কিলার গ্রুপের ৫জন ও ইন্টেলিজেন্ট গ্রুপের ২জন সহ মোট ৭ জন অংশ নিয়ে ছিল। আর গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির আসাদুল্লাহ (২৫) এই কিলার গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য । যার সাংগঠনিক নাম ফখরুল ওরফে ফয়সাল ওরফে জাকির ওরফে সাদিক।

মনিরুল ইসলাম আরও জানান, এই ঘটনায় সর্বশেষ গ্রেফতার আসাদুল্লাহর বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুরে। সে যশোর পলিটেকনিকে পড়াশোনা করেছে। আসাদুল্লাহার বাবা ছিল জামায়াতের রুকন পর্যায়ের নেতা। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমে যোগদানের আগে ২০১৫ সালে যশোরের নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ছাত্রশিবিরের সাথী ছিল সে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে আরও জানাও হয় , ২০১৬ সালে উত্তর বাড্ডায় এক পুলিশ সদস্যকে আহত করে অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার সঙ্গে আসাদুল্লাহ সরাসরি জড়িত ছিল। সেই অস্ত্রটি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা আশা করছেন, আসাদুল্লাহকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে সেই অস্ত্রটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে।

মামলা তদন্ত সম্পর্কে মনিরুল ইসলাম বলেন, হত্যাকান্ডের দ্বায় আগেই স্বীকার করেছিল আনসার আল ইসলাম(বাংলা)। প্রথমে মামলাটি তদন্ত করে ডিএমপি’র গোয়েন্দা বিভাগ। পরবর্তী সময়ে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় কাউন্টার টেরোরিজম (সিটি) বিভাগ। তদন্তে এই হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন হতে থাকে। আর এখন পর্যন্ত হত্যা অংশ গ্রহণ করা মোট ৭ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত এই হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তার মধ্যে কিলার গ্রুপের ২জন হল আসাদুল্লাহ ও ইতোপূর্বে গ্রেফতারকৃত আরাফাত। আর বাকী ২ জন ইন্টেল গ্রুপের যাবের ওরফে জুবায়ের ও সায়মন।

প্রসঙ্গত, ইউএসএআইডি কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান সমকামীদের অধিকার নিয়েও কাজ করতেন। তিনি সমকামীদের নিয়ে সাময়িকী ‘রূপবান’ এর সম্পাদকও ছিলেন।

Bootstrap Image Preview