Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইউপি সদস্য থেকে সফল চেয়ারম্যান ভানুলাল

হৃদয় দেবনাথ, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারী ২০১৯, ১২:৪০ PM
আপডেট: ১৭ জানুয়ারী ২০১৯, ০৩:৫৫ PM

bdmorning Image Preview
ছবি বিডিমর্নিং


ইচ্ছে ছিল মানুষের কল্যাণে কাজ করার, এই অনুপ্রেরণা সফল জনপ্রতিনিধি ও সকলের প্রিয় মানুষ এখন শ্রীমঙ্গল উপজেলার তিন নং সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়।

২০০৬ সালে শ্রীমঙ্গল তিন নং সদর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড থেকে একজন ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচন করেন এবং বিপুল ভোটে নির্বাচিতও হন। সেই থেকে আর পেছন ফিরে তাকাননি তিনি। ঠিক তার পরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২০১১ সালে একই ইউনিয়ন থেকে তৎকালীন চেয়ারম্যান দুদু মিয়াকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে তিন নং সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। একই ইউনিয়ন থেকে ২০১৬ র ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন তৃণমূলের জনপ্রিয় এই নেতা।

ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভানুলাল রায় সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায়,  প্রথম ইউপি নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি উন্নয়ন করেছেন ইউনিয়ন ছাড়িয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। আর টানা দুই বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তিনি সমস্ত উপজেলার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে উপজেলার যেকোনো প্রান্তে মানুষের সমস্যায় উপস্থিত থেকে যে কোনো সৃষ্ট জটিলতা সফলতার সাথে সমাধানে এগিয়ে যান তিনি। তাই তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের কাছে ভানুলাল রায় এখন একটি আস্থার নাম, একটি ভরসার জায়গায়। উপজেলার যেকোনো প্রান্তে মানুষের কোনো বিষয় নিয়ে সমস্যা তৈরী হলে সাধারণ মানুষজন সোজা চলে আসেন ভানুলালের অফিসে। তিনিও উভয়পক্ষকে উপস্থিত রেখে উভয় পক্ষের সকল সমস্যা মনোযোগ দিয়ে শুনার পর একটি সুন্দর স্থায়ী সমাধান করে দেন। 

শুধু তাই নয় উপজেলার যেকোনো প্রান্তে কোনো মানুষ টাকার সংকটে চিকিৎসা করতে পারছেন না কিংবা মেয়ের বিয়ের টাকা সংগ্রহ করতে পারছেন না। এমন মানবিক বিষয়গুলোতে সাধারণ মানুষজনের সাহায্যে পাশে দাঁড়ান ভানুলাল রায়। পরিচিত কিংবা অপরিচিত যেকোনো মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ান তিনি। আর এসমস্ত কার্যক্রমের কারণে শুধু উপজেলায় নয় সমস্ত জেলা জুড়ে চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়ের বিশাল সুখ্যাতি তৈরী হয়েছে।

রাজনৈতিক দূরদর্শিতা এবং বিচক্ষণতার কারণে স্থানীয় এমপি উপাধ্যক্ষ ড.আব্দুস শহীদ এমপি মহোদয়েরও আস্থা অর্জন করেছেন তিনি। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় তার গ্রহণযোগ্যতার চিত্র। 

মির্জাপুর ইউনিয়নের বাবুল দাস তিনি জানান, আমার এক আত্মীয় ঢাকায় মৃত্যু বরণ করেন কিন্তু তার ছেলে মেয়েরা তার লাশ নিতে অনীহা প্রকাশ করে আর এই খবরটা চেয়ারম্যান সাহেব জানার পর নিজ খরচে ঢাকা থেকে সেই লাশ নিজ খরচে এনে দাহ করার সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করেন। সমাজে এমন জনপ্রতিনিধি থাকলে এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি জনগণের কল্যাণ হবেই।

সিন্দুরখান এলাকার আলফু মিয়া বলেন, ভানুলাল রায় শুধু চেয়ারম্যান নন তিনি একজন প্রকৃত সমাজ সেবক। আমি এখন পর্যন্ত শুনিনি যে ভানু চেয়ারম্যান এর কাছে গিয়ে কেউ খালি হাতে ফিরেছেন। আমি চাই সামনের নির্বাচনে ভানুলাল রায়কে আমরা উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে পাবো।

নওগাঁ এলাকার শামীম মিয়া জানান, ভানু লাল রায় একজন নিবেদিত সমাজ সেবক। দল-মত ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যেকোনো মানুষের বিপদে তার উপস্থিত লক্ষণীয়। আর এজন্য নির্দলীয়ভাবে সর্বমহলেই তার রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। তাই আমরা চাই এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভানুলাল রায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচন করবেন আর আমার বিশ্বাস উপজেলা নির্বাচনেও তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন এতে কোনো সন্দেহ নেই।

স্কুল শিক্ষক পূরবী ধরে বলেন, জনপ্রতিনিধি সবসময় জনগণের স্পর্শে থাকবেন এটাই নিয়ম। যেকোনো সমস্যায় জনগণ যেন সেই প্রতিনিধিকে পাশে পায়। আমি নিজেও একজন রাজনৈতিক পরিবারের মেয়ে সেই সুবাধে আমি ছোটকাল থেকেই আমার বাবা কাকাদের মানুষের জন্য দিনরাত কাজ করতে দেখেছি। আর সেই একই বৈশিষ্ট দেখছি চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়ের মধ্যে। আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি এই সাধারণ মানুষগুলোই একদিন চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়কে আরো অনেক বড় দায়িত্বে অধিষ্ঠিত করবে।

এলাকার দরিদ্র কৃষক মন্নান মিয়া বলেন, গত এক বছর আগে শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে যায়। এক বন্ধুর পরামর্শে আমি ভানু চেয়ারম্যানের কাছে যাই। তিনি তাৎক্ষণিক আমাকে নিয়ে থানায় গিয়ে বুঝিয়ে শুনিয়ে আমার ছেলেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। আমি চেয়ারম্যান সাহেবের ভোটার না জেনেও তিনি আমার বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন। একমাত্র ভানুলাল চেয়ারম্যান আমার বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন, আমাকে বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন তাই সেই ঘটনার পর থেকে আমি ভানু চেয়ারম্যানের একান্ত ভক্ত। আমি চাই, জনপ্রতিনিধি হোক এমন যিনি সকল অসহায় মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াবেন।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশ নিবেন কিনা? সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে চেয়ারম্যান ভানুলাল রায় বিডিমর্নিংকে জানান, সাধারণ মানুষ আমাকে ভালোবাসে আর মূলত এই ভালোবাসাটার জন্যই আমি জনপ্রতিনিধি হয়েছি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো কিনা তা এখনো আমি বলতে পারছিনা। সময়ই সব বলে দিবে।

এ প্রযুক্তির যোগেও আপনি প্রচারণায় পিছিয়ে কেন? জানতে চাইলে তিনি জানান, সত্যিকার অর্থে আমি প্রচারণায় বিশ্বাসী নই, আমি কাজে বিশ্বাসী আর কাজের মূল্যায়ন জনগণই করে। এখনতো একটি গাছের চারা লাগালেও ফেসবুক গরম করে দেয় ছবি দিয়ে। আমি সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করি, কাজ করে যাবো আমি বিশ্বাস করি যারা কাজ করে তারা নীরবেই করে। সাধারণ মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি সুতরাং সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করবো এটাইতো নিয়ম, এগুলো প্রচার করার কি আছে?

Bootstrap Image Preview