মাদক চোরাচালানের অভিযোগে কানাডার এক নগরিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে চীনের একটি আদালত। এ রায় দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের আরও অবনতির দিকে ঠেলে দিল।
কানাডীয় রবার্ট লয়েড শেলেনবার্গকে ২০১৮ সালে প্রথমে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। আপিল আদালত ওই সাজাকে ‘অপরাধের তুলনায় কম শাস্তি’ বলে বর্ণনা করে সোমাবার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়।
এই রায়ের ফলে চীন এবং কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও খারাপের দিকে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ঘটনাকে ভয়ঙ্কর, দূভার্গ্যজনক এবং মর্মান্তিক বলে উল্লেখ করেছেন শেলেনবার্গের খালা লওরি নেলসন।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এক বিবৃতিতে ট্রুডো বলেন, সরকার হিসেবে এটা আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের। একই সঙ্গে আমাদের আন্তর্জাতিক বন্ধু এবং মিত্র দেশগুলোর জন্যও এটা উদ্বেগজনক হওয়া উচিত যে, চীন নিজেদের ইচ্ছামত মৃত্যুদণ্ড দেয়া শুরু করেছে।
কয়েক সপ্তাহ আগে কানাডায় চীনা টেলিকম কোম্পানি হুয়াওয়ের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা মেং ওয়াংঝুকে গ্রেফতারের ফলে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন শুরু হয়। শেলেনবার্গের মৃত্যুদণ্ডের ঘটনায় তা আরো তীব্র হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন সরকারের অনুরোধে ওয়াংঝুকে গ্রেফতার করেছিল কানাডার পুলিশ। গতমাসে তিনি জামিনে মুক্তি পেলেও তার কানাডা ত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
২০১৪ সালে ২২৭ কেজি মেথামফেটামিন চীন থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পাচারের পরিকল্পনার দায়ে ৩৬ বছর বয়সী শেলেনবার্গকে আটক করে চীনা পুলিশ। ২০১৮ সালের নভেম্বরে তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয় দেশটির একটি নিম্ন আদালত।