Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কষ্টিপাথরের মূর্তি আত্মসাতের চেষ্টায় ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

মহিনুল ইসলাম সুজন, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:২২ PM
আপডেট: ১৪ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:২২ PM

bdmorning Image Preview


নীলফামারীর ডোমারে প্রাচীন কষ্টিপাথরের বৌদ্ধ মূর্তি উদ্ধারের পর তা আত্মসাতের চেষ্টাকারী আটক ইউপি চেয়ারম্যানকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

সোমবার (১৪ জানুয়ারী) দুপুরে উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের আটককৃত ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কামাল আজাদকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত চেয়ারম্যান আবুল কামাল আজাদ (৬০) ও তার ছেলে ফরহাদ হোসেন (২৮) কে আসামী করে মামলা নং-৯,তারিখ ১৩/০১/২০১৯ইং দায়ের করেছেন ডোমার থানা পুিলশ।

পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারি উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নে মৎস্য অধিদফতর, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় চোমুয়ার বিল পুনঃখনন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন, জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিন।

শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে খননকালে মাটির তলদেশে কষ্টি পাথরের মূর্তিটি পাওয়া গেলে সে সময় সোনারায় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের ছেলে ফরহাদ হোসেন কৌশলে মূর্তিটি হাতিয়ে নিয়ে চলে যায়। খননকালে শ্রমিকরা ওই জলাশয়ের তলদেশে মন্দির ও সিড়ির পরিলক্ষিত করে বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করলে প্রশাসনের পক্ষে থেকে খনন কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। 

কষ্টি পাথরের মূর্তির ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে চেয়ারম্যান ও তার ছেলে ফরহাদ হোসেন আসল মূর্তিটি লুকিয়ে রেখে শনিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে পুরাতন ইট ও কাঠের টুকরা থানায় জমা দেয়। এতে পুলিশের সন্দেহ হলে ডোমার থানা পুলিশ সরেজমিনে খনন কাজে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে আসল মূর্তির বিষয়টি।

এরই সূত্র ধরে শনিবার গভীর রাতে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, সার্কেল (ডোমার-ডিমলা) জয়ব্রত পালের নেতৃত্বে ডোমার থানার ওসি মোকছেদ আলী বেপারীসহ সঙ্গীয়ফোর্স চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কষ্টিপাথরের আসল মূর্তিটি উদ্ধার করতে সক্ষম হন।

পরে রবিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকালে সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে আটক করে পুলিশ।

ডোমার থানার ওসি মোকছেদ আলী বেপারী বলেন, মূর্তিটি আত্মসাতের চেষ্টার অপরাধে ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ছেলে ফরহাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে গ্রেফতারকৃত ইউপি চেয়ারম্যানকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে এবং অপর আসামী চেয়ারম্যানের ছেলে ফরহাদকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, সার্কেল(ডোমার-ডিমলা) জয়ব্রত পাল।

এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের দক্ষ কর্মকর্তাদের পরিদর্শনের পর বিলটির খননের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। 
 

Bootstrap Image Preview