Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নরসিংদীতে ৩ জনের মৃত্যুর পরও থামছে না অবৈধ বালু উত্তোলন

সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী জেলা প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারী ২০১৯, ০৪:৩৪ PM
আপডেট: ১৩ জানুয়ারী ২০১৯, ০৪:৩৪ PM

bdmorning Image Preview


সরকারিভাবে কোনো বালুর মহাল না থাকলেও নসরসিংদী জেলার বেলাব ও রায়পুরা উপজেলার সরাবাদ এবং হাসেম নগর কাজী বাড়ির বিলে প্রকাশ্যেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি চলছে। এর ফলে বিলের তীরবর্তী পরিবেশ ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ফসলি জমি মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই বিলের গর্তে পড়ে শামীম ও তানিমসহ তিন জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় কৃষক হায়দার আলী ও সেলিম মিয়াসহ এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, অবাধে বালু উত্তোলনের কারণে পরিবেশ, ফসলী জমি ও মানুষের বাড়ি-ঘরের ব্যাপক ক্ষতির পাশাপাশি বিপুল অঙ্কের রাজস্ব থেকে সরকার বঞ্চিত হলেও প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় বিভিন্ন মহলকে ‘ম্যানেজ’ করার নামে একটি চিহ্নিত মহল বালু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা তুলেছে।

তবে বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, আমি এ বিষয়ে অবগত নই ও আপনার কাছ থেকে এ সংবাদ শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনা পরিদর্শনের জন্য আমার কর্মকর্তাদরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য নির্দেশ প্রদান করি। যথাযথ প্রমাণ হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রায়পুরা উপজেলার উত্তর বাখারনগর ইউনিয়নের হাসেম নগর কাজী বাড়ির বিলে কিছু শ্রমিক বিলের পাড়ে পার্কিং করা দুটি মালবাহী ট্রাকে বালু সরবরাহ দিচ্ছে। অন্যদিকে বিলের মাঝখানে যন্ত্র বসিয়ে পাইপ দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

ঘটনাস্থলে সংবাদকর্মী রাজু মিয়া সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনের মূল হোতা কাকন ও রকিব মিয়ার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে দায় ছাড়ার মত কথা বলে ঘটনাস্থল থেকে দূরে চলে যায়। কিন্তু বিলপাড় এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা উত্তর বাখারনগর সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করলে দুই থানার মাঝখানে জায়গা হওয়ায় এক পর্যায়ে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে এই দুই নরগত বালু ব্যবসায়ী।

শামীম নামের একজন শ্রমিক জানান, ঠিকাদার কাকন ও রকিব মিয়ার হয়ে তারা বালু উত্তোলন ও ট্রাক বোঝাই করছেন।

শামিম জানান, এই ব্যবসার সাথে আমাদের এলাকার প্রতাপশালীরাও জড়িত রয়েছেন। তাঁদের সাথে কথা বলে ছবি তোলার পরামর্শ দেন তিনি।

শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বেশ কয়েক মাস ধরে এই বিল থেকে বালু উত্তোলন করে দুই-তিনটি ট্রাক করে দিনে ১৫/২০ বার বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হচ্ছে।

বেলাব উপজেলায় সরকার অনুমোদিত বালু মহাল না থাকার কথা উল্লেখ করে ইউএনও বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Bootstrap Image Preview