Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দুই বোনের অন্তরঙ্গ ছবি ফেসবুকে ছড়ানোর অভিযোগ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:৩৭ PM
আপডেট: ১২ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:৩৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় দুই বোনের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও তুলে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে হাজরাকাটি গ্রামের তপন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এক বোনের বিবাহিত সংসার ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে অন্য বোন বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী দুই বোনের মা রিনা রানী মন্ডল বৃহস্পতিবার বিকেলে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলন রিনা রানী মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, তালা উপজেলার হাজরাকাটি গ্রামের সুনীল ঠাকুরের ছেলে তপন চক্রবর্তী নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এলাকায় যাতয়াত করতো। তার স্ত্রী ও দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। সে ফুঁসলিয়ে আমার কলেজ পড়ূয়া মেজো মেয়ের (২১) সঙ্গে তিন বছর আগে সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরপর আমাদের বাড়িতে যাতায়াত শুরু করে। তপন চক্রবর্তী বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক হওয়ায় আমার মেয়ে তাকে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয়।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তপন চক্রবর্তী মেয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সময় তোলা আপত্তিকর ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে তাকে ধর্ষণ করতে থাকে। বিষয়টি মেয়ে আমাদের জানালে তিন মাস আগে ভারতের চব্বিশ পরগনার বনগা এলাকায় বসবাসরত বড় মেয়ের বাড়িতে তাকে পাঠিয়ে দেই। সেখানে গত ডিসেম্বরের প্রথম দিকে অন্য ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের বিষয়টি জানতে পেরে তপন আমার ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছোট মেয়েকে (১৫) একাধিকবার ধর্ষণ করে ছবি ও ভিডিও তুলে রাখে।

তিনি আরও বলেন, ছোট মেয়ে বিষয়টি ঘটনা আমাদের জানালে নিরুপায় হয়ে তাকেও ডিসেম্বরের শেষের দিকে ভারতে বড় বোনের কাছে পাঠিয়ে দেই। সেখানে যাওয়ার পর ছোট মেয়েকে বাড়ি ফিরে আসার জন্য মোবাইল ফোনে চাপ দিতে থাকে তপন। ছোট মেয়েকে সে বিয়ে করতে চায়। বাড়িতে না আসলে দুই বোনের আপত্তিকার ভিডিও ও ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। মেয়ে বাড়িতে না আসায় দুই বোনের সঙ্গে বিভিন্ন সময় তোলা অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ভুয়া ফেসবুক খুলে ছড়িয়ে দিতে থাকে তপন। সম্মানের ভয়ে গত ৮ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) রাতে ভারতে বড় মেয়ের বাড়িতে আমার ছোট মেয়ে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বর্তমানে সে সেখানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর আগে গত ৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমার স্বামী সুকুমার মন্ডলকে মহান্দি বাজার থেকে মাইক্রোবাস যোগে তুলে এনে তালা উপজেলা পরিষদের সামনে তপন চক্রবর্তীর নিজ অফিসের মধ্যে মারপিট করে তিনটি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে বলেছে আমাদের কাছে ৬ লাখ টাকা পাবে।

তপন চক্রবর্তীর বিচার দাবি করে রিনা রানী মন্ডল বলেন, একদিকে মেজো মেয়ের সংসার ভেঙে যাচ্ছে অন্যদিকে ছোট মেয়ে আজ মৃত্যুশয্যায়। আমরা এই লম্পটের বিচার চাই। এ সময় রিনা রানী মন্ডলের স্বামী সুকুমার মন্ডল উপস্থিত ছিলেন।

তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে তপন চক্রবর্তী বলেন, তারা গত নভেম্বর মাসে আমার কাছ থেকে ছয়লাখ টাকা নিয়ে দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছে। সেই টাকা ফেরত না দেয়ার জন্য এই তালবাহানা শুরু করেছে।

অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে তপন বলেন, আমি তাদের নামে মামলা দায়ের করেছি। ফেসবুকে ছবি দেয়ার বিষয়টিও অস্বীকার করেন তিনি।

Bootstrap Image Preview