ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের কুঠিবাড়ি সংযোগ সংলগ্ন কুমার নদীর উপর একটি ব্রিজের অভাবে হাজার খানেক মানুষের জনদুর্ভোগের অন্ত নেই। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে কোমলমতি স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে এলাকার কৃষকের উৎপাদিত ফসল প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা পার হয়ে বিক্রির জন্য বাজারে নিতে হয় মাথায় করে। বর্ষার দিনে নদীর পানি কানায়-কানায় ভরে উঠলে শঙ্কার মধ্যে থেকে শিশুদের ওপারের খারদিয়া নামক একটি স্কুলে পাঠাতে হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পারাপারের জন্য খারদিয়ার কুমার নদের ওপর একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছে কোমলমতি স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা। নদীর ওপারে অবস্থিত খারদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের স্কুলে যেতে এ বাঁশের সাঁকো নতুবা নৌকাই একমাত্র ভরসা।
এলাকার সাধারণ কৃষকরা জানান, উন্নয়নের ছোঁয়া তবুও সালথায় একটি ব্রিজের অভাবে জনদুর্ভোগে হাজারও মানুষ। বিশেষ করে বর্ষার দিনে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে বিক্রি করতে অনেক বিড়ম্বনা পোহাতে হয়।
অপরদিকে, বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতেও সাহস হারিয়ে ফেলি। তাই দুর্ভোগ এড়াতে এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ এলাকার মানুষের জনদাবিতে পরিণত হয়েছে।
সোনাপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাবু বলেন, আমি যেটুকু জানি এটি এলজিইডি ডিপার্টমেন্টের হাতে নেই। এটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের কাজ। তাইতো এখানে ব্রিজ হতে বিলম্ব হচ্ছে।
বাবু জানান, সে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এবিষয়টি জানিয়েছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবেও ওইখানে ব্রিজের জন্য চেষ্টা করছি।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাকসুদুল ইসলাম বলেন, ওই স্থানে ব্রিজ নির্মাণে আমি এলজিআরডি ডিপার্টমেন্টে কথা বলছি। এ ব্যাপারে একটি চিঠি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানো হবে।