Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিভিন্ন ধর্মে খাবারের বিধি নিষেধ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:১৭ AM
আপডেট: ১২ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:১৭ AM

bdmorning Image Preview


বিশ্ব জুড়ে সব ধর্মের মানুষের খাবারের উপর নানা বিধিনিষেধ আছে, কোনোটা খাওয়া সম্ভব আর কোনোটা খাওয়া বারণ, বিশেষ করে আমিষ, অর্থাৎ মাছ-মাংসের ক্ষেত্রে। বহু শতাব্দী ধরে এই সব বিধিনিষেধ চলে আসছে।

ইসলাম ধর্মে

ইসলামধর্মে শূকরের মাংস ‘হারাম’। এছাড়া মৃত পশুপাখির মাংস, মাদক দ্রব্য সেবন, হিংস্র প্রাণীর মাংস খাওয়া হারাম। এমন কি কোরবানি করার সময় পশুর মস্তক সম্পুর্ণ আলাদা হয়ে গেলেও সেই পশুর মাংস হারাম বলে বিবেচিত হয়। শিকার করা পশু যদি কোরনাবি করার আগেই মারা যায় তবে তার মাংস খাওয়াও হারাম।

হিন্দু ধর্ম

হিন্দুধর্মে গরুকে পবিত্র বলে মনে করা হয়, তাই গো-মাংস ভক্ষণ নিষিদ্ধ। ভেড়ার মাংস, মুরগির মাংস বা মাছ ছাড়া বস্তুত বাকি সব ধরণের মাংসই নিষিদ্ধ। হিন্দুদের একটি বড় অংশ নিরামিষ ভোজন করে থাকেন।

ইহুদিরা যা খান ও যা খান না

ইহুদিদের জন্য যা খাওয়া অনুমোদিত, তাকে বলা হয় কোশার ও যা খাওয়া নিষিদ্ধ, তাকে বলা হয় ত্রেফা। কোশার হলো সেইসব প্রাণী, যাদের পায়ের খুর পুরোপুরি চেরা এবং যারা জাবর কাটে, যেমন গরু, ছাগল কিংবা ভেড়া। ঘোড়া কিংবা শূকর এই কারণে কোশার নয়। কোশার মাছের আবার আঁশ ও পাখনা থাকা চাই।

বৌদ্ধধর্মে খাওয়া নিয়ে বিধিনিষেধ

বৌদ্ধধর্মে সব ধরণের মাংস, এমনকি মাছ ভক্ষণও নিষিদ্ধ, কেননা বৌদ্ধরা বিশ্বাস করেন যে, কোনো প্রাণিসত্তার মৃত্যুর জন্য তাদের দায়ী হওয়া উচিৎ নয়।

শিখ

শিখরা শূকরের মাংস খান না। সেই সঙ্গে হালাল বা কোশার মাংসও তাদের কাছে অভক্ষ্য, কেননা অন্য কোনো ধর্মের ধর্মাচারে অংশগ্রহণ করা তাদের জন্য নিষিদ্ধ।

জৈন ধর্ম

জৈনধর্মের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতি হলো অহিংসা, যে কারণে অধিকাংশ জৈন নিরামিষ আহার করেন। তবে তারা দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যও গ্রহণ করে থাকেন।

Bootstrap Image Preview