Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

দেনার দায়ে ফুটফুটে দুই সন্তান বিক্রি করবেন আল আমিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারী ২০১৯, ০৪:৪৯ PM
আপডেট: ১১ জানুয়ারী ২০১৯, ০৪:৪৯ PM

bdmorning Image Preview


সন্তান বিক্রির জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন মো. আল আমিন নামে এক বাবা। এনজিও ও স্থানীয়দের কাছ থেকে সুদে ধার নেয়া ২০ লাখ টাকা পরিশোধের জন্য তার এই প্রয়াস।

ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ভেদুরিয়া গ্রামে আল আমিন থাকেন। আল আমিন ওই গ্রামের মো. মজনু মিয়ার বড় ছেলে। নিজের দুই সন্তানকে বিক্রি করতে চান তিনি।

আল আমিন জাহাজে কাজ করতেন। গত ৪ বছর আগে তিনি ভেদুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় একটি কীটনাশটের দোকান দেন। দোকানটি ভালোই চলছিল। এ ছাড়াও তিনি জমি বন্ধক রেখে ধান ও সবজির চাষ করছেন।

আল আমিন বলেন, হঠাৎ ২০১৭ সালের শেষ দিকে ধান ও সবজির খেতে সাড়ে ৩ লাখ টাকা লোকসান হয়। এ ছাড়াও ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসের শুরুতে দোকানে অনেক বাকি দেয়ায় লোকসান হয়। পরে নিরুপায় হয়ে এনজিও থেকে দুই নামে ৪ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে দোকানে মালামাল উঠাই ও জমিতে নতুন করে আবাদ শুরু করার জন্য স্থানীয় একজনের কাছ থেকে সুদে ২ লাখ টাকা ধার নিই। এভাবে তিন মাস পার হলেও অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

তিনি জানান, এনজিওর কিস্তির টাকা ও সুদের টাকা পরিশোধ করতে কষ্ট হলে আবারও স্থানীয় আরেকজনের কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা সুদে ধার নিই। এরইমধ্যে দোকানের মালামালে সাড়ে ৫ লাখ টাকা পাওনা হয়ে যায়। এভাবে পর্যায়ক্রমে এনজিও ও স্থানীয়দের কাছ থেকে সুদে ধার নেয়া টাকার পরিমাণ বেড়ে দাাঁড়ায় ২০ লাখ টাকা। এখন দোকানে মালামাল ও খেতে ফসলও নেই।

আমার সম্পদ বলতে ৪ শতাংশ জমির উপর একটি ঘর রয়েছে। তারও মালিক আমরা তিন ভাই ও চার বোন। তাই আমরা স্বামী-স্ত্রী বাধ্য হয়ে আমাদের দুই ছেলে সিয়াম (৫) ও সিহাবকে (২) বিক্রি করে দেনা পরিশোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আল আমিনের স্ত্রী রাবেয়া বেগম বলেন, আমার স্বামীর এখন অনেক টাকা দেনা রয়েছে। এনজিওর কিস্তি ও সুদের টাকা পরিশোধ করতে প্রতি মাসে ৬০ হাজার করে টাকা লাগবে। নিরুপায় হয়ে আমরা সন্তান বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এ বিষয়ে ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, বিষয়টি জানি না। তবে ওই ব্যক্তি অফিসে এলে সহযোগিতা করা যেতে পারে।

Bootstrap Image Preview