'আমরা প্রকৃতিকে বাঁচাবো, আগামী প্রজন্মের জন্য' এই শ্লোগানকে ধারণ করে ইউএসএআইডি'র অর্থায়নে ২০০৫ সালে ২৪৩ হেক্টর বনভূমি নিয়ে সাতছড়িকে জাতীয় উদ্যানে হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এ বনটি বিভিন্নভাবে ধ্বংস হতে চলছিল। এ বনটির জীববৈচিত্র্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বনের মধ্যে রয়েছে ২১ প্রজাতির উভয়চর প্রাণী, ৫০ প্রজাতির সরিসৃপ, ২০৩ প্রজাতির পাখি এবং ২৪ প্রজাতির স্তন্যপ্রায়ী প্রাণী। ২০০৫ সাল থেকে হবিগঞ্জের মাধবপুর-চুনারুঘাট বন এলাকার ৩৮টি গ্রামের জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন জনগোষ্ঠী নিয়ে সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে।
বন বিভাগসহ ব্যবস্থাপনা কমিটি, উদ্যান সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির যৌথ ব্যবস্থাপনায় সাতছড়ি বনের জীব বৈচিত্র্য, গাছপালা এবং বন্যপ্রাণীর অভয়াশ্রমে নেয়া হয়েছে নানান উদ্যোগ। পর্যটকদের জন্যও নেয়া হয়েছে নানান উদ্যোগ।
সাতছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন বিডিমর্নিংকে বলেন, এ বনে অবাধে সর্ব সাধারণের প্রবেশ সংরক্ষিত হওয়ায় এবং বনের ভেতরে বসবাসকারী পশুপাখি নিরাপত্তা ও খাদ্যের সংস্থান থাকায় এখন সাতছড়ি বনে বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর প্রজনন বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্তন্যপ্রাণী প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে- বন্য শুকুর, উল্লুক, মুখপোড়া হনুমান, চশমাপড়া হনুমান, কুলু বানর, লজ্জাবতি বানর, কাঠ বিড়ালি, খরগোশ, ডাইনি বাদর, বন বিড়াল, মেচু বিড়াল, গন্ধগোকুল, হলদে গলা মারটিন, মায়া হরিণ। উভয়চর
প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে- সোনা ব্যাঙ, কোনা ব্যাঙ, বেনপু ব্যাঙ, লালপিঠ লাউবিচি ব্যাঙ, মুরগি ডাকা ব্যাঙ। সরিসৃপ প্রাণীর মধ্যে রয়েছে উড়ন্ত টিকটিকি, নীলগলা গিরগিটি, তক্ষক, কিং কোবরা, গোখরা সাপ, সবুজ বোরা সাপ, ধোরা সাপ, লাউডগা সাপ, পাহাড়ি সাপ।
পাখির মধ্যে রয়েছে- কাউ ধনেশ, পাতি ময়না, লালমাথা কুচকুচি, উদয়ী বামনরাঙ্গা, মেটে হাঁড়িচাচা, খয়রামাথা শুমচা, তুর্কীবাজ, সবুজ ঘুঘু, সবুজ ধুমকল, চিত্রা হুতোম প্যাচা, তামাটে বেনেবউ, পাতি সবুজ তাউরা, নীলচুটকি, কালাগলা টুনটুনি, কালাঝুটি বুলবুল, জলপাই বুলবুল, এশিয় শ্যামাপাপিয়া।